যে মানুষটি কর্মজীবনের বাইরের সময়টুকু দেশ ও সমাজের কল্যাণে ব্যয় করেন তিনি মাহফুজুর রহমান । যার একাধিক পরিচয় পাওয়া যায় কর্মকান্ডের মধ্যদিয়ে।ব্যাংকার,গল্পকার,ছড়াকার,রম্য লেখক এবং উপস্থাপক।তার পিতা মৌলভী আলীম উদ্দিন আহমেদ,মাতা খোজেদা খাতুন।শৈশবে নিজগ্রামের পাঠশালায় তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লেখাপড়া শেষ করেন।পরবর্তীতে গ্রামের হাইস্কুলে ভর্তি হলেও লেখাপড়ায় তেমন মনোযোগ ছিলনা বিধায় নবম শ্রেণীতে সকল বিষয়ে অকৃতকার্্য হন। খেলাধুলায় বড় ডোবায় ডুব সাঁতার আর মাছ ধরার নেশায় সারাক্ষণ থাকতেন তিনি।পরীক্ষায় ফেল করার কারনে বাড়ি থেকে তার বাবা বের দেন। পরবর্তীতে তিনি ভৈরব কেবি হাই স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে তিনি এসএসসি পাশ করেন। ১৯৭৩ সালে হাজী আসমত আলী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন।১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.কম অনার্স (ব্যবস্থাপনা)পাশ করেন।১৯৭৭ সালে তিনি এম.কম (ব্যবস্থাপনা) পাশ করেন ।
কর্মজীবনঃ লেখাপড়া শেষ করে মাহফুজুর রহমান চাকুরীতে যোগদানের মধ্যদিয়ে শুরু হয় তার কর্মজীবন।এরই ধারাবাহিকতায় র্বতমানে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক মানি লন্ডারিং।এছাড়াও চাকুরীর পাশাপাশি তিনি তার কর্মক্ষেত্র প্রসারিত করেছেন সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে।তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত নাট্যকার।তার বেশ কয়টি নাটক প্রচারিত হেয়েছে। তিনি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘অর্থ প্রসঙ্গ’ এর পরিকল্পনাকারী ও প্রথম পর্যায়ের উপস্থাপক।
সাহিত্য অঙ্গনে তার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। তার প্রকাশিত বই গুলের মধ্যে (১) তৃষিত চাতক(গল্পগ্রন্থ); (২) দুঃসময়ের বাসিন্দা(উপন্যাস); (৩) বদি মিয়ার রাজাকারের ডায়রি;(৪) ব্যবসা প্রশাসন ও বাণিজ্যিক পত্রালাপ; (৫) মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ; (৬) টাকা সাহেবের গল্প; (৭) একদেশে ছিল এক ভুত ও বুদ্ধিমান বালকসহ একাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জরিত।সভাপতি,পাকুন্দিয়া ঐতিহ্য লালন পরিষদ। এই সংগঠনের মাধ্যমে সিনিয়রদের পিকনিক,ঘড়ি উৎসব,শীত ও পিঠা উৎসব প্রতি বছর পালন করে থাকেন। তিনি জীবন সদ্যস, বাংলা একাডেমী। যুদ্ধকালীন সময়ে ও মুক্তিযুদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন। তাদের খাওয়া দাওয়া এবং খবর আদান প্রদানে কাজ করেছেন।