মহিলার বয়স ৬৩ বছর, মহিলার দুই ছেলে। বড়সর চাকরি করেতো তাই বিশাল বড় ফ্লাটে থাকে বউ-বাচ্চা নিয়া। দুই ভাই এর আলাদা আলাদা দামি বাসা। দামি দামি সোফা আর আসবাব পত্রে ঠাসা। এই দামি ঠাসা আসবাব পত্রের বাড়িতে বৃদ্ধা মায়ের ঠাই হলো না! ক’দিন পর দূর দূর করে তাড়িয়ে দিলো প্রথম পুত্রের বাসা থেকে!

– আপনারা মহিলার পুত্র বধুর দূষ দিতে পারেন, কিন্তু ভুইলেন না, পুত্র বধুর স্বামী মহিলার পুত্র জাদা।
লজ্জা শরমের মাথা খাইয়া, একটু আশ্রয়ের আশায় দ্বিতীয় পুত্রের দামি এসি ওয়ালা বাসায় যায় বৃদ্বা মা। কিন্তু সারা জীবন খোলা হাওয়া খাওয়া ‘বৃদ্ধা মা’র ভাগ্যে এসির বাতাস বেশিদিন সইলো না! বইতে পড়া কবিতার কথা- ‘যতটা না মারিত হাতে,তার চেয়ে মারিত ঠোঠে’, এই মানুষিক পীড়ন সইতে না পেরে এসি ওয়ালা বাসা ছেড়ে আবার সেই খোলা বাতাসেই শ্বাস নিতে হলো।

– আপনারা বৃদ্ধা মার পুত্র বধুর দুষ দিতে পারেন। কিন্তু ভুইলেন না, পুত্র বধুর স্বামী বৃদ্বা মার পুত্রজাদা !
এই দেশে নাকি মেয়েদের প্রথম আশ্রয় বাবার বাড়ি, দ্বিতীয় আশ্রয় স্বামীর বাড়ি আর তৃতীয় মানে সর্বশেষ আশ্রয় সন্তানের বাড়ি!
বৃদ্বা মার বয়স হয়ে গেছেতো, তাই কাম-কাজ করতে পারেনা। এই যুগে কেউ কাউকে বসিয়ে বসিয়ে খাওয়ায়? হোক না ‘মা’, সো হোয়াট ? এই মা’রা বোকা আছিলোতো তাই পেটের ভিতর ১০ মাস সন্তানদের নিজের শরীর খাইতে দিছে।  প্রতিষ্টিত হবার আগে পর্যন্ত নিজের শরীরের রক্তরে পানি করছে।  ‘মায়ের বোকা হইতে
পারে কিন্তু সন্তানরাতো আর বোকা না! তাই তারা মা’কে নিজের পথ দেখতে বলছে! সন্তানের বাড়ি আর বৃদ্বা মায়ের শেষ আশ্রয়স্থল হইলো না!
এই ৬৩ বছরের বৃদ্ধ মানুষদের জন্য চমত্কার একটা আশ্রম আছে। নাম ‘বৃদ্ধাশ্রম’ । আচ্ছা মায়েদের জন্য ‘বৃদ্বাশ্রম’ খুব চমত্কার একটা জায়গা, তাই না ? !