যাকাত একটি আরবী শব্দ , যার অর্থ আশীর্বাদ করা, পবিত্র করা, বৃদ্ধি করা।
আল্লাহ তাআলা কুরআন শরিফে এরশাদ করেছেন “خُذْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً
تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيهِم بِهَا
সাদকাহ গ্রহণ করে তাদের (সম্পদশালীদের) পবিত্র করো [TMQ At-Taubah: ১০৩]
সাদকাহ প্রদান করাকেই যাকাত দেয়া বলা হয়, যা একটি আশীর্বাদ অর্জন , একটি ভাল কাজের চাষাবাদ।
যাকাত হল নির্দিষ্ট ধরনের ও নির্ধারিত সম্পদ থেকে একটি অধিকার । এটি একটি ইবাদত, ইসলামের একটি রুকন বা স্তম্ভ , যা নামায, রোযা রাখার (চাঁদ দেখে )মতই ফরজ। মুসলিমের ওপরই কেবল এ নিয়ম প্রযোজ্য , এবং non-Muslims থেকে গ্রহণ/প্রদান করা হয় না। আল্লাহ তাআলা সালাতের পরেই যাকাতের স্থান দিয়েছেন।যাকাত এর বাধ্যবাধকতা কোরান এবং সুন্নাহ এর অনেক প্রমাণ থেকে প্রতিষ্ঠিত ।
আল্লাহ তাআলা যাকাত-প্রদানকারীদের অত্যন্ত পুরষ্কার দেয়ার কথা বলেছেন।
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُواْ وَعَمِلُواْ الصَّالِحَاتِ وَأَقَامُواْ الصَّلاَةَ وَآتَوُاْ الزَّكَاةَ لَهُمْ أَجْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِم
“নিশ্চয়ই যারা বিশ্বাস করে, সৎ কর্ম করে, সালাত কায়েম করে ও যাকাত প্রদান করে, তাদেরকে তাদের প্রভুর পক্ষ হতে পুরষ্কার প্রদান করা হবে[TMQ Al-Baqarah: 277].
যাকাত দেয়াকে উপেক্ষা করা , সম্পদের যথেচ্ছা প্রদর্শন করাকে রাসুল (সা নিন্দা করেছেন।
আল-আহনাফ বিন এর পক্ষ হতে আবু দার (রা বর্ণনা করেছেন যে , রাসুল (সা বলেছেন “فقال بشر الكانزين برضف يحمى عليه في نار
جهنم فيوضع على حلمة ثدي أحدهم حتى يخرج
من نغض كتفيه ويوضع على نغض كتفيه حتى
يخرج من حلمة ثدييه يتزلزل”
“সম্পদ জমানোকারীদের জানিয়ে দাও যে , দোজখে একটি পাথর উত্তপ্ত করা হবে এবং সেটিকে তাদের বুকের স্তনের উপর রাখা হবে , যেন তা কাধের হাড়ের উপর দিয়ে বের হয়ে যায় এবং পুনরায় সেটিকে কাধের হাড়ের উপর রাখা হবে , যেন তা বুকের স্তনের উপর দিয়ে বের হয়ে যায় , এভাবে পাথরটিকে উত্তপ্ত ও নাড়ানো হতে থাকবে।Sahih Bukhari Volume 2, Book 24, Number 489]
উপরোক্ত আয়াত ও হাদিস গুলো যাকাত প্রদানের গুরুত্ব নির্দেশ করে।বর্তমানে পুঁজিবাদী সমাজে আমরা বসবাস করি, যেখানে প্রচুর টাকা উপার্জন করা , সম্পদের প্রদর্শন এবং নিজের জন্য সম্পূর্ণ টাকা খরচ করাকে উৎসাহিত করা হয়। কিন্তু মুসলমানের কাছে সম্পদ হল একটি আস্থা , একটি বিশ্বাস এবং সেই সম্পদ হতে যাকাত দেয়া হল একটি মহান ও পবিত্র দায়িত্ব , যার জন্য হাশরের ময়দানে তাকে জবাবদিহী করতে হবে।
নিজের ইচ্ছা
যাকাত প্রদানের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নিজের ইচ্ছা বা সেচ্ছায় যাকাত প্রদান। মনের গভীর হতে যাকাত প্রদানের আগ্রহ থাকতে হবে , যেন তা কোনো ধরনের বস্তুগত লেনদেনের বদলে আধ্যাতিক দায়িত্বশীলতার বিষয়টিই প্রাধান্য পায়। আল্লাহ তাআলার দেয়া ফরজ দায়িত্ব পালন ও তার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্য ব্যতীত যাকাত প্রদান কোনো মুসলামনের কোনো কল্যাণ বয়ে আনবেনা। আর তাই রাসুল বলেছেন ”
إنما الأعمال بالنية
“নিশ্চয়ই প্রত্যেক আমল তার নিয়তের উপর নির্ভরশীল……।”
অন্যান্য সকল ইবাদতের মতই যাকাত দানের ক্ষেত্রে pure devotion থাকা প্রয়োজন এবং তা হতে হবে ব্যক্তিগত বিবেচনা, ব্যক্তির বস্তুগত অর্জন অথবা আকাঙ্খার প্রভাবমুক্ত। উদাহরন স্বরুপ বলা যায় , হজ্বের সময় পাথর (শয়তানকে) নিক্ষেপ । এই কাজে কোনো ধরনের বস্তগত অর্জন নেই , কারণ তা হচ্ছে শরীয়াহর আদেশ। এ আদেশ পালনের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহের কাছে তার প্রকৃত দাসত্ব ও সম্পূর্ণ বাধ্য থাকা প্রকাশ করে।
আর তাই যাকাত প্রদানের সময়ও একমাত্র ও শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তষ্টিই আশা করা উচিত , দুনিয়াবি কোনো সুবিধা আশা করা উচিত নয়। রাসুল (সা তার উম্মতকে এ নির্দেশ দিয়েছেন যে, দ্বিধাহীন আনুগত্য পালনের মাধ্যমেই মুমিন বান্দা আল্লাহ তাআলার প্রতি তার সম্পর্ক প্রকাশ করে।
বান্দার ব্যক্তিগত ইচ্ছা , অনিচ্ছা , আবেগ , নিজস্ব চিন্তা এখানে মূল্যহীন, আল্লাহ তাআলার আদেশ পালন ও তার সন্তষ্টিই এখানে মূল বিষয়।
কী পরিমাণে ও কোন কোন সম্পদের উপর যাকাত দিতে হবে
যাকাত মুসলিম নর, নারী, শিশুর ওপর দেওয়া হয়। খিলাফত রাস্ট্রের অস্তিত্ব থাকুক বা না থাকুক , যাকাত প্রদান করতে হবে।
আমরু বিন শোয়াইব বর্ণনা করেছেন যে, রাসুল (সা বলেছেন যে ,
اتجروا في أموال اليتامى، لا تأكلها الزكاة
“নিশ্চয়ই সম্পদের উপর ইয়াতিমের হক আছে , যাকাত প্রদানকারী যেন তা বিনিয়োগ (যাকাত দানের মাধ্যমে) করে, সে যেন যাকাত প্রদান থেকে বিরত না থাকে।
যেসব সম্পদের উপর যাকাত প্রদান করতে হবে, তা হল br />
১। স্বর্ণ , রৌপ্য, প্রচলিত মুদ্রা (টাকা, দিনার ইত্যাদি তরল সম্পদ)
২। গৃহপালিত পশু , যেমন গরু, ভেড়া ও ছাগল
৩।শষ্য ও ফল
৪। ভোগ্য পণ্যের দোকান , যেমন মুদির দোকান , ফাস্ট ফুডের দোকান, কাপড়ের দোকান ইত্যাদি
৫। সম্পত্তি হতে অর্জিত আয় , যেমন উপভাড়া।
স্বর্ণ , রৌপ্য, প্রচলিত মুদ্রা:
নিসাব পরিমাণ সম্পদ হলেই যাকাত প্রদান করতে হব। স্বর্ণের ক্ষেত্রে নিসাবের পরিমাণ ৮৫ গ্রাম ।বর্তমানে প্রতি গ্রাম স্বর্ণের মূল্য ২৬.১১ পাউন্ড। সেই হিসাবে নিসাব পরিমাণ স্বর্ণের মূল্য (২৬.১১*৮৫) ২২১৯.৩৫ পাউন্ড , যা বর্তমান বাংলাদেশি টাকায় ২৩৭২৮৬.৪২ টাকা (১২ জানুয়ারি, ২০১০)
অর্থাৎ কেউ যদি এক হিজরি বছরের ভিতরে কমপক্ষে উক্ত (২৩৭২৮৬.৪২ টাকার )পরিমাণ স্বর্ণ উপার্জন করে , তাহলে তাকে উক্ত স্বর্ণের ২.৫% অংশ যাকাত হিসাবে প্রদান করতে হবে। আর নিসাব পরিমানের চেয়ে বেশি সম্পদের মালিক হলে সম্পূর্ণ স্বর্ণের মূল্যের উপরই (নিসাবের অংশ সহ) যাকাত দিতে হবে।
আলী বিন আবু তালিব বর্ণনা করেছেন “One-half dinar in every twenty dinars, and one dinar (is due) in every forty dinars”
নিসাব পরিমাণ সম্পদ হিসাবের ক্ষেত্রে নিজের ব্যক্তিগত ঋণের পরিমাণ , মোট সম্পদ হতে বাদ দিয়ে হিসাব করতে হবে।
উদাহরণ সরূপ বলা যায় যে, কেউ যদি ৫,৭০,০০০ টাকার স্বর্ণের মালিক হয় , আর তার ব্যক্তিগত ঋণের পরিমাণ যদি ৫০,০০০ টাকা হয় , তাহলে তাকে ৫,২০,০০০ টাকার স্বর্ণের উপর ২.৫% সম্পদ যাকাত দিতে হবে।
আর তার ঋণ যদি ৪,৫০,০০০ টাকা হতো , তাহলে তাকে কোনো যাকাত দিতে হতোনা , কারণ মোট স্বর্ণ-সম্পদ হতে ব্যক্তিগত ঋণ বাদ (৫,৭০,০০০-৪,৫০,০০০=১,২০,০০০ টাকা) দেয়ার পর অবশিষ্ট স্বর্ণ-সম্পদ , নিসাবের পরিমাণ (২৩৭২৮৬.৪২) হতে কম।
রৌপের ক্ষেত্রে নিসাবের পরিমাণ ৫৯৫ গ্রাম। এর চেয়ে একটু কম হলে তাকে যাকাত দিতে হবেনা। অর্থাৎ কারো কাছে যদি এক হিজরি বছরে ৫৯৪ গ্রাম রৌপ্য জমা থাকে , তাহলে তাকে উক্ত রৌপের উপর যাকাত দিতে হবেনা।
তরল সম্পদের ক্ষেত্রে (নগদ টাকা, দিনার বা ডলার) সম্পূর্ণ বছরের জমানো পরিমানের উপর ২.৫% অংশ যাকাত দিতে হবে।
গৃহপালিত পশু:
চরানোর উদ্দেশ্যে , এক বছরের অধিক সময় ধরে পালিত পশুর ক্ষেত্রে যাকাত আবশ্যক। যেমন ভেড়া, গরু, ছাগল ইত্যাদি। আর উটের ক্ষেত্রে যদি তার সংখ্যা পাঁচের বেশি হয় , তাহলে তার উপর যাকাত দিতে হবে।
আর প্রতি বছরে পশুর সংখ্যা বাড়লে বছর শেষে সকল পশুর উপর হিসাব করে যাকাত দিতে হবে।
শষ্য ও ফলমূল
খেজুর, শুকনো আঙুর, গম, যব ও ভূট্টা ব্যতিত অন্য কোনো শষ্যের উপর যাকাত প্রদান করতে হয় না। এখানেও ফি বছর শষ্যের পরিমাণ বাড়লে নিসাবের মোট পরিমাণ ও বাড়বে।
পন্যদ্রব্য:
ক্রয়-বিক্রয়ের দ্বারা , মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে , এক হিজরি বছর শেষে সংরক্ষিত পন্যদ্রব্য , যার মূল্য স্বর্ণের নিসাবের পরিমাণ হবে , তার উপর যাকাত দিতে হবে।
যাকাত কারা পাবে[/sb
মহান আল্লাহ তাআলা কুরআন শরীফে যাকাত প্রদানের জন্য সুস্পষ্ট ভাবে ৮টি (আটটি) খাত উল্লেখ করেছেন। উক্ত খাত ব্যতিত অন্য কোথাও যাকাত প্রদান করা যাবেনা। মূলত খিলাফত রাস্ট্রই যাকাত সংগ্রহ করে তা আটটি খাতে বরাদ্দ/প্রদান করবে। তবে যেহেতু বর্তমানে খিলাফাত রাস্ট্রের নেই , তাই ব্যাক্তিগত ভাবেই মুসলমানেরা উক্ত খাতগুলোতে যাকাত দিবে।
আল্লাহ তাআলা কুরআন শরীফে এরশাদ করেছেন
إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاء وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ
عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ
وَفِي سَبِيلِ اللّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ
[TMQ At-Taubah: 60].
“নিশ্চ্ই যাকাত হচ্ছে তাদের জন্য যারা গরীব, অভাবি, যারা নিয়োজিত আছে(যাকাত আহরণের জন্য), যাদের মন পরিবর্তন করতে হবে,দাস,ঋণ গ্রহিতা (পরিশোধে অসমর্ধ),যারা আল্লাহর পথে আছে ও অভাবী মুসাফির”
১। গরীব ((Al-Fuqaraa)” : যারা তাদের নিজের উপার্জন দ্বারা নিজেদের নুন্যতম চাহিদা মেটাতে(খাদ্য,বস্ত্র, বাসস্থান) অক্ষম , তারাই হল গরীব। তার দারিদ্রতা ও অভাব মেটানো না পর্যন্ত সে যাকাত পাওয়ার যোগ্য।
২. অভাবী (Al-Masakeen) : যে ব্যক্তি কোনো কিছুর মালিক নয়, যে কোনো কাজ করতে পারছেনা , যে তার নিজেকে বা তার পরিবারকে কিছু দিতে পারছেনা তাকে অভাবী বলা হয়। মূলত অভাবীদের স্থান গরীবের নিচে। তারা দারিদ্র সীমার নীচে বাস করে।
৩. যারা যাকাত আহরনের কাজে নিয়োজিত (Al-Amileen ‘alayha):
কুরআনের আদেশ অনুযায়ি , যারা যাকাত আহরণের জন্য ও বরাদ্দের জন্য নিয়োজিত আছে , তারাও যাকাত পাওয়ার যোগ্য , হতেও পারে তারা ধনী। খলিফা তাদের নিয়োগ দিবেন।
আতআব ইয়াসির হতে বর্ণিত, রাসুল (সা বলেছেন
لا تحل الصدقة لغني إلا لخمسة لعامل عليها ولرجل
اشتراها بماله أو غارم أو غاز في سبيل الله أو مسكين
تصدق عليه منها فأهدى منها لغني
“Sadaqah is not allowed for the rich except for five: The one employed to collect it, a man who buys it with his wealth, a man who was given a sadaqah and he donated it to his neighbour, the fighter or the debtor.”
৪. যাদের মন পরিবর্তন করতে হবে (Al-muallafatu qulubuhum) : সমাজের কিছু মানুষ (নেতা , সাহসী বীর, প্রভাবশালী ব্যাক্তি, গোত্র-প্রধান) যারা এখনো আল্লাহর উপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করেনি , তাদের যাকাত দিতে হবে , যেন তারা পরিবর্তন হয় এবং তাদের পরিবর্তন দ্বারা তাদের পার্শ্ববর্তী মানুষ গুলো যেন পরিবর্তিত হয়ে আল্লাহর উপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করে।
৫. দাস (Ar-riqah) : বর্তমানে যেহেতু আগের মত কেনা দাস এর প্রথা নেই , তাই এটি আর প্রয়োগ হবার সম্ভাবনা নেই। মূলত মনিবের নিকট হতে মুক্ত হবার জন্য দাসকে যাকাত দেয়া হতো।
৬. ঋণ গ্রহিতা (Al-Gharimeen): ঋণ গ্রহিতার যদি সেই রকম সম্পদ না থাকে , যা দিয়ে সে ঋণ শোধ করতে পারে , তবে সে ঋন শোধের নিমিত্তে যাকাত পাবার যোগ্য। তবে অবশ্যই ঋণ নেয়ার উদ্দেশ্য ও প্রয়োগ হালাল হতে হবে।
আবার একই সাথে যে ব্যক্তি ঋণ প্রদান করেছে , তাকেও যাকাত দিতে হবে , যখন সে তার অর্থ ফেরৎ পাবে। এবং যত বছর অর্থটি ঋণ কার্যে ছিল , তত বছরের হিসাবে যাকাত দিতে হবে।
৭. যারা আল্লাহর পথে আছে (Fi Sabeelillah) : কুরআনের আদেশ অনুযায়ী , জিহাদের ব্যবস্থা করা , তার অর্থায়ন করার জন্য যাকাত প্রদান করতে হবে।
৮. অভাবী মুসাফির (Ibn us-Sabeel) : যে মুসাফির তার গন্তব্যে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ অবশিষ্ট নেই, সে ব্যক্তি যাকাত পাবার যোগ্য।
যাকাত প্রদানের বাধ্যবাধকতা:
যাকাত প্রদান করা ফরয। আল্লাহ তাআলা কুরআন শরীফে এরশাদ করেছেন
وَآتُوا الزَّكَاةَ
“যাকাত প্রদান কর” [TMQ Al-Muzzammil: 20]
মু’আয (রা কে রাসুল (সা ইয়েমেনে পাঠিয়েছিলেন এবং তাকে বলে দিয়েছিলেন “Inform them that Allah obliged Sadaqah upon their wealth that is taken from their rich and given to their poor.”
যাকাত না প্রদান করলে আখিরাতে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত , রাসুল (সা বলেছেন “No owner of gold or silver who fails to give its due right except that he will have sheets of fire made for him on the Day of Judgement. They will be heated in the Hellfire then used to burn his sides, forehead and back. Whenever they cool, they are reheated to him in a Day which is 50,000 years long, until it is judged between the people and he is shown his path, either to Paradise or to the Fire
যাকাত মূলত রাস্ট্রের কোষাগারে (বায়তুল মাল) জমা হবে , যা হতে রাস্ট্র উক্ত ৮টি খাতে খরচ করা হবে। রাস্ট্রের পক্ষ হতে যাকাত আহরন ও ব্যক্তির পক্ষ হতে যাকাত প্রদান উভয়ই ফরজ। রাস্ট্রে গরীব ,দাস অভাবী ব্যক্তির পরিমাণ বেশি বা কম হোক , যাকাত অবশ্যই আহরণ করতে হবে।
আর ব্যক্তি যাকাত প্রদানকে নামায , রোযা , হজ্বের মতই ফরজ কাজ হিসাবে তা পালন করবে। নির্দিষ্ট খাত ব্যতিত যাকাতে টাকা খরচ করা ইসলামে নিষিদ্ধ।
উপসংহার
শুধুমাত্র ইসলামি রাস্ট্রই পারে যাকাত-ভিত্তিক একটি বলিষ্ঠ অর্থনীতি গড়তে , যা প্রয়োগ করার আদেশ মহান আল্লাহ তাআলা কুরআন শরীফে দিয়েছেন , রাসুল (সা ও তার পরবর্তী খলিফারা বাস্তবায়িত করেছিলেন। বিশ্বের ১.৫ বিলিয়ন মুসলামনকে অভাব ,দারিদ্র ও দূর্নীতি হতে মুক্ত করতে পারে একমাত্র যাকাত-ভিত্তিক অর্থনীতি।