আসন্ন রমজান মাসে এক কোটি দরিদ্র মানুষকে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে বিনা মূল্যে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হবে। চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রমজানের আগেই খোলাবাজারে চাল বিক্রি (ওএমএস) কার্যক্রম শুরু হবে। খাদ্য ও দুর্যোগব্যবস্থাপনামন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক গতকাল শনিবার ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় স্কাউটিং’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু হতে পারে। সরকার বিশেষ সহায়তা দেওয়ার জন্য ঢাকা শহরের গরিবদের একটি তালিকা তৈরি করেছে। এদের জন্য ওএমএস বা স্বল্পমূল্যে চাল বিক্রি করা হবে। এতে রমজান মাসে বাজারদর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, রমজান মাসে যাতে কেউ অনাহারে না থাকে এবং বাজারদর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়, সে জন্য ঢাকা ছাড়াও দেশের হাওর অঞ্চল ও বন্যাদুর্গত এলাকায় এসব কর্মসূচি চলবে।
রাজধানীর কাকরাইলে স্কাউট ভবনে অনুষ্ঠিত ওই কর্মশালায় সারা দেশ থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের ৫০ জন স্কাউট সদস্য এবং ১০ জন স্কাউট কর্মকর্তা অংশ নেন।
বাজারে চালের দাম কিছুটা বেড়ে যাওয়াকে অস্বাভাবিক নয় উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম বেশি। বিশেষ করে ভারত, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে। এ ছাড়া মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বেতন ও আয় বেড়েছে। ফলে বাজারে চালের দাম বেড়েছে। দেশে খাদ্যসংকটের আশঙ্কা নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে। এ ছাড়া সরকার প্রায় পাঁচ লাখ টন গম এবং তিন লাখ টন চাল আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বর্তমানে পৌনে দুই লাখ টন গম ও ৫০ হাজার টন চাল আসছে।
খাদ্যমন্ত্রী স্কাউট সদস্যদের উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়ার তাগিদ দিয়ে কর্মশালায় বলেন, ‘অতীতে আমরা যা করতে পারিনি, তা যেন স্কাউট সদস্যরা করতে পারে, সে রকম প্রশিক্ষণ দিতে হবে। যাতে তারা মানুষের কল্যাণে কাজে লাগে।’ তিনি স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণে স্কাউটদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
স্কাউট জরুরি সহায়তাবিষয়ক কমিটির সভাপতি মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার বিদ্যুৎসচিব আবুল কালাম আজাদ ও জাতীয় কমিশনার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদ।

প্রথম আলো-১৮ জুলাই