আমগাছ বাংলাদেশের জাতীয় বৃক্ষ। দেশি গাছের কদর বাড়াতে এবং মানুষকে গাছ লাগাতে উৎসাহী করার জন্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।দেশে জাতীয় ফল, ফুল, পাখি, মাছ থাকলেও এত দিন জাতীয় গাছ ছিল না। এখন থেকে আমগাছ জাতীয় বৃক্ষ হিসেবে পরিচিতি পাবে। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।জাতীয় বৃক্ষ নির্ধারণের প্রস্তাবে কদম, শিমুল, পলাশ, হিজল, তাল ও আমগাছের নাম প্রস্তাব আকারে পাঠানো হলে আমগাছকেই বেছে নেওয়া হয়।সূত্র জানায়, মেহেরপুরের মুজিবনগরের আমতলায় প্রবাসী বাংলাদেশি সরকারের শপথ নেওয়া, পলাশীর আম্রকাননে স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হওয়া এবং জাতীয় সংগীতে আমগাছের কথা উল্লেখ আছে। এসব ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণে আমগাছকেই বেছে নিয়েছে মন্ত্রিসভা।

এ ছাড়াও বৈঠকে পরিবেশ আইন-২০১০ নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়েছে বলে ব্রিফিংয়ে জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ। পাশাপাশি বনভূমি ইজারা নিষিদ্ধ করে দ্য ফরেস্ট অ্যাক্ট সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।প্রস্তাবে অনুমতি ছাড়া বনভূমির গাছ কেউ কাটলে, বনজ সম্পদ চুরি কিংবা বনভূমি রক্ষায় কর্তব্যে অবহেলায় দায়ী ব্যক্তির সর্বোচ্চ তিন বছরের সাজা এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাদেশে ১৯৮৭ সালের ‘দ্য ইন্ডিয়ান ফরেস্ট অ্যাক্ট’ অনুযায়ী বনভূমি সংরক্ষণের জন্য ‘বাংলাদেশ ফরেস্ট অ্যাক্ট’ করা হয়। ১৯৯০ সালে তা সংশোধন করা হয়। ওই আইনে বনভূমি নিধনের জন্য সর্বোচ্চ সাজা ছয় মাস এবং দুই হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল।

তিনি বলেন, নতুন আইনে সাজা তিন বছর, জরিমানা ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে এবং বনভূমি ইজারা প্রদান নিষিদ্ধ করা হয়েছে।উল্লেখ্য, পার্বত্য ও অন্যান্য অঞ্চলে যেসব আদিবাসী বসবাস করে তাদের অধিকার সংরক্ষণ করে এ আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, যে বনভূমিকে একবার সংরক্ষিত ঘোষণা করা হবে তা আজীবন সংরক্ষিত থাকবে।

-কালের কন্ঠ