বৃহত্তর কিশোরগঞ্জ অঞ্চলের হাওর এলাকার কৃষকেরা তাদের অল্পজমিতে অধিক ফসল ফলিয়ে প্রচুর মুনাফা অর্জনের তাগিদে নিজেদের উদ্যোগে হাওর অঞ্চলে ফসল উত্পাদনের ধরন পাল্টাতে শুরু করেছেন।
এক সময় হাওর অঞ্চলে ধান উত্পাদন ছাড়া কৃষকেরা অন্য কোনো ফসল উত্পাদনের কথা ভাবতে পারতেন না। এসব এলাকার কৃষকেরা বছরে একটিমাত্র ফসল বোরো ধান চাষ করেন। বছরের পর বছর এভাবে তাদের সংসার চালিয়ে এসেছেন। কিন্তু যে বছর অকাল, বন্যা, অতিবৃষ্টিসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে এসব এলাকার কৃষকদের জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায় তখন তাদের আর কিছু করার থাকে না। তখন তাদের খেয়ে না খেয়ে অভাব-অনটনের মাঝে থেকে পরবর্তী ফসল উত্পাদনের মৌসুম পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ধার-দেনা করে এবং দাদন নিয়ে কোনোরকমে তারা সংসার চালান। এভাবে হাওর অঞ্চলের কৃষকেরা দিনের পর দিন ধার-দেনা করে এবং দাদন নিয়ে নিঃস্ব হয়ে ভূমিহীনে পরিণত হয়েছেন। বর্তমানে এসব কৃষক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে টমেটো ও ফুলকপির চাষ শুরু করেন। এতে তারা বেশি লাভবান হন। এভাবে তারা গত ২/৩ বছর ধরে মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, সরিষা, বেগুন, টমেটো, ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করে হাওর অঞ্চলের কৃষকদের চোখ খুলে দেন। কৃষক আক্তার হোসেন রঙ্গু ও জপন দেবনাথ জানান, নিজ উদ্যোগে কলাকৌশল জেনে তারা সবজি চাষ শুরু করেন। গত বছর এক একর জমিতে টমেটো চাষ করে খরচ বাদে প্রায় ৬০ হাজার টাকা আয় করেন। অথচ এ জমিতে ধান চাষ করলে খরচ বাদে তিনি এ আয়ের অর্ধেক টাকাও পেতেন না। তাই এ বছর তিনি বিভিন্ন জমিতে ধানের আবাদ বাদ দিয়ে বাঁধাকপি, ফুলকপি,মুলা, টমেটো, মরিচ ও পেঁয়াজ চাষ করেছেন। গত বছর টমেটো চাষের সফলতা দেখে এ বছর কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার হাওর অঞ্চলের ধোবাজুরা চমকপুর, শিহারা, ঘাগড়া, ভরা, খলাপাড়া ও হোসেনপুর গ্রামের কৃষকেরা উত্সাহিত হয়ে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য জমিতে ধানের বদলে সবজি চাষ করতে শুরু করেছেন। এ এলাকার সবজি চাষ দেখে বৃহত্তর কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলের কৃষকেরা ফসল উত্পাদনের ধরন পাল্টে সবজি চাষ শুরু করেছেন।
হাওর অঞ্চলের কৃষকেরা অভিযোগ করে বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে সবজি চাষের ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করলে তারা বেশি লাভবান হতেন, কিন্তু হাওর অঞ্চলের কৃষকদের উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে কোনো সহযোগিতা করা হয় না।
এক সময় হাওর অঞ্চলে ধান উত্পাদন ছাড়া কৃষকেরা অন্য কোনো ফসল উত্পাদনের কথা ভাবতে পারতেন না। এসব এলাকার কৃষকেরা বছরে একটিমাত্র ফসল বোরো ধান চাষ করেন। বছরের পর বছর এভাবে তাদের সংসার চালিয়ে এসেছেন। কিন্তু যে বছর অকাল, বন্যা, অতিবৃষ্টিসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে এসব এলাকার কৃষকদের জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায় তখন তাদের আর কিছু করার থাকে না। তখন তাদের খেয়ে না খেয়ে অভাব-অনটনের মাঝে থেকে পরবর্তী ফসল উত্পাদনের মৌসুম পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ধার-দেনা করে এবং দাদন নিয়ে কোনোরকমে তারা সংসার চালান। এভাবে হাওর অঞ্চলের কৃষকেরা দিনের পর দিন ধার-দেনা করে এবং দাদন নিয়ে নিঃস্ব হয়ে ভূমিহীনে পরিণত হয়েছেন। বর্তমানে এসব কৃষক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে টমেটো ও ফুলকপির চাষ শুরু করেন। এতে তারা বেশি লাভবান হন। এভাবে তারা গত ২/৩ বছর ধরে মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, সরিষা, বেগুন, টমেটো, ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করে হাওর অঞ্চলের কৃষকদের চোখ খুলে দেন। কৃষক আক্তার হোসেন রঙ্গু ও জপন দেবনাথ জানান, নিজ উদ্যোগে কলাকৌশল জেনে তারা সবজি চাষ শুরু করেন। গত বছর এক একর জমিতে টমেটো চাষ করে খরচ বাদে প্রায় ৬০ হাজার টাকা আয় করেন। অথচ এ জমিতে ধান চাষ করলে খরচ বাদে তিনি এ আয়ের অর্ধেক টাকাও পেতেন না। তাই এ বছর তিনি বিভিন্ন জমিতে ধানের আবাদ বাদ দিয়ে বাঁধাকপি, ফুলকপি,মুলা, টমেটো, মরিচ ও পেঁয়াজ চাষ করেছেন। গত বছর টমেটো চাষের সফলতা দেখে এ বছর কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার হাওর অঞ্চলের ধোবাজুরা চমকপুর, শিহারা, ঘাগড়া, ভরা, খলাপাড়া ও হোসেনপুর গ্রামের কৃষকেরা উত্সাহিত হয়ে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য জমিতে ধানের বদলে সবজি চাষ করতে শুরু করেছেন। এ এলাকার সবজি চাষ দেখে বৃহত্তর কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলের কৃষকেরা ফসল উত্পাদনের ধরন পাল্টে সবজি চাষ শুরু করেছেন।
হাওর অঞ্চলের কৃষকেরা অভিযোগ করে বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে সবজি চাষের ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করলে তারা বেশি লাভবান হতেন, কিন্তু হাওর অঞ্চলের কৃষকদের উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে কোনো সহযোগিতা করা হয় না।