ইংরেজ আমলেই কেবল কিশোরগঞ্জ সম্পর্কে লিখিত উপস্থাপনা কিছু কিছু পাওয়া যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১৮৬৮ খ্রীষ্টাব্দে প্রকাশিত “Principal Heads History and Statistics Of the Dacca Division” এ যাবতকাল পুস্তকারে প্রাপ্ত তথ্যাদির মধ্যে এটাই প্রাচীন উপস্থাপনা। এরপর আসে হান্টারের “A Statistical Account of Bengal”,প্রকাশকাল ১৮৭৫। পরবর্তীতে উল্লেখ করার মত এফ,এ সাকসির “Bengal district Gazetteers Mymensingh” এবং “ Final report on the Survey and Settlement Operation in the District of Mymensingh 1919”।

 প্রকাশ কাল যথাক্রমে ১৯১৭-১৯২০। তাছাড়া উল্লেখযোগ্য কিশোরগঞ্জের গচিহাটার কৃতী সন্তান শ্রীকেদারনাথ মুজুমদারের অম গ্রন্থ “ময়মনসিংহের বিবরন” (১৯০৪) এবং “ময়মনসিংহের ইতিহাস” (১৯০৫)। এতাদ্ব্যতীত ১৭৬৪ থেকে ১৭৭৩ খ্রষ্টাব্দের মধ্যে অঙ্কিত ১৭৮১ খ্রীষ্টাব্দে প্রকাশিত জেমস  জ়ে, রেনেলের অবিভক্ত বাংলাদেশের ভৌগলিক মানচিত্রে কিশোরগঞ্জের নদী ও প্রাচীন এলাকা সমূহের একটা স্পষ্ট ছবি পাওয়া যায়।
পরবর্তী অধ্যায় সমূহে বিভিন্ন আলোচনায় এ সকল রেফারেন্স সমূহ বারে বারে আসবে। তবে সচেয়ে বড় কথা যে, কিশোরগঞ্জের ইতিহাস লেখার চেষ্টা ইতঃপূর্বে নেওয়া হয়নি বলে সুবিন্যস্ত তথ্যাদি বা রেফারেন্সসমূহ  পাওয়া যায় না।যা হোক ১৭৮৭ খ্রীষ্টাব্দের ১লা মে ময়মসিংহ জেলার জন্মলগ্নে এর বিস্তৃতি ছিল ব্যাপক। ডব্লিউ রটন এই জেলার প্রথম ম্যাজিষ্ট্রেট-কালেক্টর নিযুক্ত হন। ১৭৯০ খ্রীষ্টাব্দে ময়মনসিংহের বিস্তৃতি আরো বৃদ্ধি পায় এবং সীমানা হয় পশ্চিমে সিরাজগঞ্জ, পূর্বে সিলেট, উত্তরে গারো পাহাড় এবং দক্ষিনে বঙ্গোপসাগর।

এই বিশাল জেলার শাসন সংরক্ষনের  জন্য তৎকালীন পরগণায় তহশীল কাছারী ছিল। তহশীল কাছারীর নিয়ম দীর্ঘকাল প্রচলিত ছিল। থমাস পাকেনহাম (Thomas Packenham) যখন ময়মসিংহের কালেক্ট্রর তখন অর্থাৎ ১৮২৭ খ্রীষ্টাব্দে থানাসমূহ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৮২৩ খ্রীঃ মধ্যে থানার সংখ্যা হয় ১২ এবং ১৮৬২ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে থানার সংখ্যা উন্নীত হয় মাত্র ১৪ টিতে। বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলায় থানার সংখ্যা ১৩ টি।