ইলিয়াস কাঞ্চন কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার আশুতিয়াপাড়া গ্রামে ২৫শে ডিসেম্বর ১৯৫৬ সালে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা নাম হাজি আব্দুল আলী, মাতার নাম সরুফা খাতুন। তিনি ১৯৭৫ সালে কবি নজরুল সরকারী কলেজ থেকে এইস এস সি পাস করেন।পরে ১৯৭৬ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমে পাস কোর্সে ভর্তি হন পরে ১৯৭৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সোসলোজিতে ভর্তি হন এবং দের বছর ছিলেন এবং চলচ্চিত্রের কারনে আর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারেন নাই । । তিনি ১৯৭৭ সালে ‘বসুন্ধরা’ ছবি মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন। প্রথম ছবি শুধী সমাজের কাছে সমাদৃত হয় কিন্তু ব্যবসা সফল হয়নি অনেক পরিশ্রম করে তাকে এই পর্যন্ত আসতে হয়েছে। কাঞ্চন তিনশ-এর বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন ।

তার উল্লেখযোগ্য ছবির তালিকায় আছে ,বসুন্ধরা, পরিণীতা, শেষ উত্তর, ভেজাচোখ, আঁখি মিলন, নীতিবান, অভিযান বেদের মেয়ে জোসনা, বেনাম বাদশা, মাটির কস্‌ম, সিপাহী,স্বজন, ভাংচুর, মৃত্যুর মুখে, বাদশা ভাই ,শেষ রক্ষা, সহযাত্রী, আতবিশ্বাস, স্নেহের প্রতিদান, প্রতিরোধ, আদরের সন্তান, মুন্না মাস্তান, চেয়ারম্যান, খুনি আসামি, আসামি গ্রেফতার, ত্যাগ, সৎ মানুষ, মহৎ সহ  তিনি মিনি পর্দায় অভিনয় করেন ১৯৭৯ সালে ।তার প্রথম প্যাকজ নাটক নায়ক ১৯৯৬ সালে। প্রথম টেলিফ্লিম অবাঞ্ছিতায় ২০০১ অভিনয় করেন ।অভিনয়ের জন্য এবং সফরের উদ্দেশে তিনি সৌদি আরব, ভারত, নেপাল, ব্যাঙ্কক, ইংল্যান্ড, আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, কানাডা, জাপান, পাকিস্তান, ঘুরে এসেছেন ।

কাঞ্ছন তার শিল্পী জীবনে অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন। জয় করেছেন কোটি মানুষের হৃদয় এবং তার স্বীকৃতি হিসেবে । জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার ১৯৮৬। বাংলাদেশ চলচিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার ১৯৮৬, ৯৬, জিয়া সর্ন পদক পান ১৯৯২, ৯৯, ২০০১ সালে। যুব পদক ১৯৯২ সালে। চলচিত্র দর্শক ফোরাম পুরস্কার ১৯৯৩ সালেস। শেরেবাংলা স্মৃতি পদক পান ১৯৯৩, ৯৬, ৯৯ সালে ।

বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউনডেশন পদক ১৯৯৬ সালে, মেরিল ভোরে কাগজ মেলা পুরস্কার ১৯৯৭ সালে। ফুলকুলি অ্যাওয়ার্ডস ১৯৯৮ জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ সমিতি পুরস্কার পান ১৯৯৮। ৩য় বাংলাদেশ ফ্লিম মুভমেন্ট পুরস্কার ১৯৯৯ সালে, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যান সংস্থা সর্নপদক ২০০০ সালে, অন্যনা সাংস্কৃতিক ও সমাজকল্যাণ পরিষদ পুরস্কার শেখ সাঈদ বক্স স্মৃতি যুব পদক এবং বাংলাদেশ কালচারাল মুভমেন্ট অ্যাওয়াডস, নারায়ণগঞ্জ-২০০১ সালে ।

কাঞ্চন তার চলচিত্র জীবনে তার মেধা,সততা এবং অভিনয়ের স্বীকৃতি পেয়েছেন এবং পেয়েছেন অনেকগুলো পদক ও তার অভিনয়, শ্রম, মেধা ও ব্যাক্তিতের জন্য হয়েছেন এক আলোকিত মানুষ ।

কাঞ্চন পারিবারিক জীবনে প্রথম স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চন এক সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুর পর  নায়িকা পারভীন সুলতানা দিতিকে বিয়ে করেন কিন্তু আর দিতির সাথে তার সংসার করা হয় নাই তার আগেই দিতি কাঞ্চন কে ছেড়ে চলে যান । কাঞ্চন ও জাহানারার ছেলে মিরাজুল মইন জয় ও কন্যা ইসরাত জাহান ইমা তাদের নিয়ে তিনি সুখে শান্তিতে দিন কাটাছেন ।

সড়ক দূঘটনায় তার প্রথম স্ত্রী নিহত হওয়ার পর কাঞ্চন নিরাপদ সড়ক চাই নিসচা এক সামাজিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বাংলাদেশ সড়ক দূঘটনায় প্রতিদিন ২০/২৫ জন মানুষ মারা যাচ্ছে |তাই নিরাপদ সড়ক চাই মাধ্যমে তিনি সামাজের মানুষের মাঝে সচেতনতার বৃদ্ধি করতে চান |তার ডাকে যারা বাংলাদেশ মানুষের মনে সচেতনতার বৃদ্বি পাবে তা তিনি মনে করেন | নিরাপদ সড়ক চাই পৃথিবীর আর কোন দেশে এমন ধরনের সামাজিক আন্দোলন নেই |বাংলাদেশ তার কার্যক্রম দেখে বিশ্বের অনেক দেশে নিরাপদ সড়ক চাই কাঞ্চনের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করেছেন ।