কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় চার দিন ধরে একটি বাজারের অর্ধশতাধিক দোকান বন্ধ রয়েছে। এতে একদিকে স্থানীয় লোকজন বাজারে এসে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে পারছে না, অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

উপজেলার শামুকজানি ও শিমুলআটি গ্রামের মধ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়কের পাশে একটি বাজার গড়ে উঠেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী এবং এলাকাবাসী জানান, ২২ নভেম্বর খেলার মাঠে গরু চরানোকে কেন্দ্র করে শামুকজানি ও শিমুলআটি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে শিমুলআটি গ্রামের মতি মিয়া নিহত হন। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার নিহতের ছোট ভাই সাগর আহমেদ শামুকজানি গ্রামের ১০০ জনকে আসামি করে তাড়াইল থানায় হত্যা মামলা করেন।এলাকাবাসী আরও জানান, গ্রেপ্তার-আতঙ্কে শামুকজানি গ্রামের লোকজন তাদের দোকান বন্ধ রেখেছে।

 একইভাবে প্রতিপক্ষ হামলা চালাতে পারে—এ আশঙ্কায় শিমুলআটি গ্রামের লোকজনও তাদের দোকান বন্ধ রেখেছে। এ কারণে অপর এলাকার ব্যবাসায়ীরা দোকান বন্ধ রেখেছেন। ওই বাজারের একটি চায়ের দোকানের মালিক মাসুদ মিয়া বলেন, ‘চা বিক্রি করে ছয়জনের সংসার চলে। চার দিন ধরে দোকান বন্ধ থাকায় বউ-বাচ্চা নিয়ে কষ্টে আছি।’

তাড়াইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইউসুফ আলী বলেন, ‘সদর ইউনিয়ন এবং রাউতি ইউনিয়নের দুই গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই দুই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বাজার চালু করার ব্যাপারে উদ্যোগী হলে আমরা সহযোগিতা করব।’

-প্রথম আলো