আধিপত্য বিস্তার ও একটি বাসা দখলকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া এলাকায় গুলিবর্ষণ, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও অন্যান্য সূত্র জানায়, হারুয়া এলাকায় বিবদমান তিনটি গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে একটি বাড়ি দখলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদ্য জামিনে মুক্ত টগর হত্যা মামলার আসামি কেরানীবাড়ির আবু সালেহ হারুয়া এলাকার বিসমিল্লাহ স্টোর নামে একটি দোকানে বসে ছিল। এ সময় সন্ত্রাসী আবু হানিফ হাছুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী সালেহর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। সালেহ পালাতে চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে দোকানে তাণ্ডব চালায়।

হৈচৈ শুনে দোকান মালিকের মা সমর্ত্য বানু (৫৫) বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা বন্দুকের বাঁট দিয়ে তাঁকে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় সমর্ত্য বানুকে কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই সময় সুরুজ নামে অপর এক যুবক সন্ত্রাসীদের বাধা দিতে এলে তাকেও বন্দুকের বাঁট দিয়ে আঘাত করা হয়। এরপর হাছু গ্রুপ হারুয়া কলেজ রোডে বসে থাকা কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজ, দেলোয়ার, সাঈদসহ আরো বেশ কয়েকজনের ওপর হামলা চালালে তারা দৌড়ে পালিয়ে আত্মরক্ষা করে। পরে আবু সালেহ গ্রুপ, ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজের সমর্থকরা সংগঠিত হয়ে হাছুর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। বর্তমানে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, তখন তারা সাত-আটটি গুলির শব্দ শুনেছেন। এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মোশারফ হোসেন গুলি হওয়ার কথা অস্বীকার করে জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। থানা এ বিষয়ে কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।