কিশোরগঞ্জে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অপরাধে পাঁচ বখাটেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, গতকাল রোববার সকালে সদর উপজেলার স্বল্প যশোদল দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে অফিসকক্ষ ঝাড়ু দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান শিক্ষক রফিকুর রহমান। ছাত্রীটি ঝাড়ু দেওয়া শুরু করলে একপর্যায়ে রফিকুর তাকে জড়িয়ে ধরেন। ওই ছাত্রী বাড়ি গিয়ে বিষয়টি তার মা-বাবাকে জানায়। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকার কয়েক শ মানুষ বিদ্যালয়ে এসে রফিকুর রহমানকে মারধর করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং বিষয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালতকে জানায়। ভ্রাম্যমাণ আদালত গিয়ে তাঁকে ওই সাজার আদেশ দেন।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, রফিকুর রহমানকে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মির্জাপুর থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল উপজেলার রশিদ দেওহাটা উচ্চবিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান চলাকালে একদল বখাটে যুবক ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করতে থাকে। একপর্যায়ে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে তারা চলে যায়। পরে বেলা ১১টায় ওই বখাটেরা সংঘবদ্ধ হয়ে একটি প্রাইভেট কার নিয়ে স্কুলের মাঠে ঢুকে কয়েকজন এলাকাবাসীকে গালমন্দ করে। এ সময় এলাকাবাসী বখাটে আজাদ, সুমন, বিপুল, জাহিদ ও প্রাইভেট কারের চালক সাব্বিরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত এসে চালক সাব্বিরকে দুই মাস এবং অপর চার বখাটেকে চার মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আজ সোমবার তাদের জেলহাজতে পাঠানো হবে।

প্রথম আলো