এবারের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় অঘটন ঘটালো সার্বিয়া। শুক্রবার ‘ডি’ গ্র”পের ম্যাচে জার্মানিকে ১-০ গোলে হারায় তারা।

প্রথমার্ধে জয় সূচক একমাত্র গোলটি করেন সার্বিয়ার মিলান জোভানোভিচ। আর দু’বার হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোজকে।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্্েরলিয়ার বিপক্ষে জার্মানিকে যে রকম দুর্দান্ত মনে হয়েছিল, সার্বিয়ার বিপক্ষে তার কোনো চিহ্ন পর্যন্ত দেখা যায়নি। সার্বিয়ার রক্ষণাত্মক কৌশলের সামনে তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা মোটেই সুবিধা করতে পারেনি।

জার্মানির অধিকাংশ আক্রমণ সার্বিয়ার বক্সের সামনে এসে থেমে যাচ্ছিল। অত্যন্ত শক্ত দেয়াল গড়ে তোলেন নেমানিয়া ভিদিচের নেতৃত্বে তার রক্ষণভাগের সঙ্গীরা। পুরো প্রথমার্ধে একটি ছাড়া কোনো গোলের সুযোগই সৃষ্টি করতে পারেনি জার্মানি।

এদিকে বলের দখলে পিছিয়ে থাকলেও সার্বিয়া যে কয়েকটি পাল্ট-আক্রমণ চালায় তাতেই বিপদে পড়ে জার্মানি। হতাশ জার্মানদের খেলায় তাই শক্তি প্রয়োগের প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায়।

তারই খেসারত দিতে হয়েছে প্রথমার্ধের ৩৬ মিনিটে। দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন আক্রমণভাগের সেরা তারকা মিরোস্লাভ ক্লোজ। এর দুই মিনিট পরই গোল হজম করতে হয় জার্মানিকে।

ক্রস করেছিলেন সার্বিয়ার মিলোস ক্রাসিচ। মাথা দিয়ে সেই বল গোলমুখে ফেলেন নিকোলা জিগিচ। ছোট বক্সের ভেতর থেকে চকিত শটে জার্মানদের জালে বল জড়িয়ে দেন মিলান জোভানোভিচ।

পিছিয়ে পড়ে জার্মানি প্রথমার্ধের শেষ দিকে কিছুটা চেপে ধরে সার্বিয়াকে। বিরতির ঠিক আগে কর্নার-কিক থেকে বল পেয়ে জার্মানির সামি খেদিরা প্রচণ্ড শট নেন। কিন্তু বল বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে।

দ্বিতীয়ার্ধে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে জার্মানি। আক্রমণের ঢেউ বইয়ে দেয় সার্বিয়ার বিপদ সীমায়। কিন্তু গোল পায়নি। আক্রমণভাগের খেলোয়াড় পোডলস্কি একাই নষ্ট করেছেন অন্তত তিনটি সুযোগ। এমনকি, পেনাল্টি থেকেও গোল করতে পারেননি তিনি।

খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনার সেরা সুযোগটি পেয়েছিল জার্মানি ৬০ মিনিটে। পেনাল্টি বক্সে বলে হাত লাগান ভিডিচ। তিনি দেখেন হলুদ কার্ড আর জার্মানি পায় পেনাল্টি। কিন্তু পোডলস্কির পেনাল্টি শট বাঁ-দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন সার্ব গোলরক্ষক ভ­াদিমির স্তয়কোভিচ।

তবে পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল সার্বিয়াও। কিন্তু জিগিচের হেড বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে। তখন বেঁচে গেলেও হার এড়াতে পারেনি দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।