ইসরায়েলকে নিয়ে লেখা গুন্টার গ্রাসের বিতর্কিত বিস্ফোরক কবিতাটি প্রথমবারের মতো বাংলায়

কেন এই নীরবতা, লুকিয়ে অনেকদিন
প্রকাশ্য অনুশীলন চলেছে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায়
যে পাদটীকায় আমাদের বিজয়ের শেষ।

অধিকারের প্রথম অভিযুক্ত আঘাতে
ধ্বংস হবে ইরানের জনগন,
ফাপরবাজের দাসত্বে
হর্ষধ্বনি মুখে সংগঠিত যাত্রা
কারণ তাদের ভূখন্ডে
একটি সন্দেহজনক বোমা তৈরী হচ্ছে।

এখনো কেন নিজেকে আটকাই
উচ্চারণে সেদেশের নাম
যেখানে গোপনে অনেক বছর
বেড়েছে আণবিক দানবের ভ্রূণ
নিয়ন্ত্রণের বাইরে, বিনা পর্যবেক্ষণে।

সত্যের জাগতিক অপলাপ,
যেখানে নীরবতার নিয়ত আবর্তনে
আমি অনুভব করি তিক্ত কাদা ছোড়াছুড়ি
জোরখাটানো শাস্তির অঙ্গীকারে
উপেক্ষার দ্রুত সম্ভাব্যতায়
‘ইহুদীবিদ্বেষ’ বড্ড চেনা শব্দ।

যদিও আমার প্রিয় স্বদেশ
সময়ের পালাবদলের অন্বেষিত জিজ্ঞাসাবাদে
সেই পুরনো পাপ
যা তুলনাহীন এক প্রকৃত বাণিজ্যিকতা
ঠোঁটের ক্ষিপ্র কাঁপনে নিয়ত অনুযোগ, জানান দেয়
ইসরায়েলে আরেকটি ইউবোটের চালান।
যার বৈশিষ্ট্য পথনির্দেশ করে সমস্ত বিধ্বংসী ওয়ারহেড
যেখানে প্রমাণসিদ্ধ নয় একটি আণবিক বোমার উপস্থিতি।
তবু কোন সমাপ্তির আতংক মারফত
আমি বলি যা বলা উচিত।

কেন আমার নীরবতা আজতক?
কারণ আমার উৎসভূমি
কখনো আক্রান্ত নয় নিশ্চিহ্নতার ফাটলে,
আমাকে সত্য উচ্চারণে বারণ করে
ইসরায়েল, যার প্রতি আমি বাধ্য এবং বাধ্য থাকতে চাই।

কেন এখন আমার কণ্ঠ সক্রিয়,
বয়সের পৌঢতায় আমার প্রায় নিঃশেষিত কলম,
জানে কী ইসরায়েলের আনবিক সক্ষমতায়
বিপন্ন চিরভঙ্গুর বিশ্বশান্তি?
কারণ আমার বলতে হবে
আগামীকাল মুখ খুললে অনেক দেরি হবে।
আমরা জার্মানরা বয়েছি অনেক ভার
অপরাধের অনুঘটকের সম্ভাব্যতায়
আমাদের অনুমান এই দুষ্কর্মে সহায়তা
মোচন সম্ভব নয় কোন প্রচলিত অজুহাতে।

এবং প্রাপ্তিতে ঘুচেছে আমার নীরবতা
কারণ পশ্চিমের ভণ্ডামিতে আমি ক্লান্ত
আশার অতিরিক্ত অভিলাষ
মুখ খোলাবে আরো অনেকের,
চেনা দুঃস্বপ্নের ক্ষিপ্র খেলোয়াড়
আবারো জানান দেয় সহিংস অতীত।
পুরনো জোরপ্রয়োগে
সে এক বল্গাহীন, চিরস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ
ইসরায়েলের আণবিক ব্রহ্মাস্ত্র
এবং ইরানের সে স্থাপনা
দুদেশের সরকারের এক
আন্তর্জাতিক এজেন্সীতে অনুমোদিত।

শুধু এখানেই নয়
ইসরায়েলি, ফিলিস্তিনি এবং অন্য সবার
পাগুলে এ অঞ্চলে
শত্রুদের গলাগলি অবস্থান
আদতে আমাদের জন্যই।

অনুবাদঃ জিশান নিয়াজ
[email protected]