নকিয়া মানেই বিশ্বের খ্যাতনামা মোবাইল ফোন নির্মাতার নাম। তবে পুরো ২০১১ সাল সময়টা নকিয়ার জন্য মোটেও সুখকর নয়। বরং দারুণ চাপের মধ্যেই কাটিয়েছে এ বিখ্যাত নির্মাতা। স্মার্টফোনের দাপটে বিশ্বপ্রতিযোগিতায় একেবারেই ছিটকে পড়ে নকিয়া। আর এখন তাই ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই।

এবারে লুমিয়া ৬১০ (এনএফসি) মডেল দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ইমার্জিং মার্কেটে আবারও একবার নিজের অস্তিত্বের কথা জানান দিচ্ছে নকিয়া। এ মডেলটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন (এনএফসি) প্রযুক্তি। এটি উইন্ডোজ ফোন প্ল্যাটফর্মেও চলতে সক্ষম। লুমিয়া ৬১০ মডেলের মাধ্যমে ইন্সট্যান্ট পেমেন্ট দেওয়ার সার্বিক সুবিধা উপভোগ করা সম্ভব। এটি ডিজিটাল যুগের জাদুকরী এক ভোক্তা সেবামাধ্যম।

নকিয়ার বিপণন প্রধান ইলারি নুরমি জানান, এনএফসি নকিয়ার অন্যতম বিশেষ ফিচার। এর মাধ্যমে হারানো প্রতিযোগিতায় নতুন করে আর্বিভূত হচ্ছে নকিয়া।

এনএফসি প্রযুক্তির সেলফোন বিক্রিতে নকিয়া সুদীর্ঘ পরিকল্পনা করেছে। এ বছরেই গত বছরের তিনগুণ পণ্য বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে নকিয়া। আর সংখ্যার হিসাবে তা দাঁড়াচ্ছে ১০ কোটি। তবে এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে নকিয়া এ বছর অনেকগুলো বৈচিত্র্যপূর্ণ মডেল বাজারে প্রকাশ করবে। বাজার গবেষণাপ্রতিষ্ঠান বার্গ ইনসাইট সূত্র এ তথ্য দিয়েছে।

স্বল্প দূরত্বের ব্যবধানে তারহীন তথ্য বিনিময় মাধ্যমকেই ‘এনএফসি’ প্রযুক্তি হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে যেকোনো পণ্যের ডিজিটাল পেমেন্ট, ইলেকট্রনিক টিকেট, মিউজিক ডাউনলোড, ছবি এবং বিজনেস কার্ড বিনিময় করা যাবে। এ জন্য কোনো অপারেটর সেবাদাতার প্রয়োজন হবে না। শুধু এনএফসি যুক্ত মোবাইল ফোন থাকলেই চলবে।

শুরুতে শুধু অরেঞ্জ অপারেটর নকিয়া লুমিয়া ৬১০ মডেল বিক্রির অনুমতি পেয়েছে। এ ছাড়াও এ মডেলটির মাধ্যমে অনায়াশে মাস্টার এবং ভিসা কার্ড ব্যবহার করা যাবে। এ মুহূর্তে লুমিয়া ‘৬১০’ মডেল দিয়ে নকিয়া ইমার্জিং মার্কেটে তার হারানো গৌরব ফিরে পেতে এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে।

বাংলানিউজ