কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে উপজেলা যুবলীগের সদস্য আবু বাক্কারকে গত বুধবার রাতে আটক করে পুলিশ। কিন্তু রাতেই যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পুলিশকে চাপ দিয়ে তাঁকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ দাবি করেছে, জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর কুলিয়াচরের বেশ কিছু সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে বিএনপির নেতা নিত্যলাল দাসকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। ওই মামলায় বাক্কার এক নম্বর আসামি।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাত ১১টার দিকে আবু বাক্কার মদ পান করে কুলিয়ারচর বাজার এলাকায় পথচারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

সূত্র জানায়, আবু বাক্কারকে আটকের পর তাঁকে ছাড়িয়ে নিতে তৎপর হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেনের পক্ষের নেতা-কর্মীরা। আবুল হোসেনের সমর্থক হিসেবে পরিচিত উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. কায়কোবাদ, যুবলীগের নেতা আলমগীর, মো. মুহসীন ও নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে শতাধিক নেতা-কর্মী রাত সাড়ে ১১টার দিকে থানায় গিয়ে হইচই শুরু করেন। এ সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁদের বাগিবতণ্ডা হয়। পরে নেতা-কর্মীদের চাপে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। তবে আওয়ামী লীগের নেতা আবুল হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার জানামতে বাক্কারের বিরুদ্ধে থানায় সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। কাজেই বিনা অভিযোগে পুলিশ কাউকে ধরে নিয়ে যেতে পারে না। বিষয়টি বলার জন্য হয়তো কেউ কেউ থানায় যেতে পারেন।’

কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মূয়ীদ চৌধুরী বলেন, ‘আবু বাক্কারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে নিত্যলাল দাস নির্যাতন মামলায় তিনি এক নম্বর আসামি। বুধবার রাতে তিনি মদ্যপ অবস্থায় মানুষের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছিলেন। এ জন্য তাঁকে ধরে নিয়ে আসা হয়। এরপর কিছু লোক থানায় এসে তাঁকে ছেড়ে দিতে বলেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতেই আবু বাক্কারকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে কারও চাপে নয়।’

-প্রথম আলো