কোডজ্যাম নামের গুগল আয়োজিত প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সাফল্য এসেছে।এবারই প্রথম বাংলাদেশের পাঁচজন প্রতিযোগী প্রতিযোগিতার তৃতীয় পর্বে উন্নীত হয়েছে।
২০০৩ সাল থেকে গুগল নিয়মিতভাবে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। চলতি বছর এ প্রতিযোগিতা মোট চারটি ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে তিনটি ধাপের প্রতিযোগিতা অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে। চলতি মাসের ৩০ তারিখে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে চতুর্থ ও সর্বশেষ ধাপে সারা বিশ্বের ২৫ জন প্রোগ্রামার অংশ নেবেন।
এ বছর বাছাই পর্বে ১৩১টি দেশ থেকে মোট ১০ হাজার ১৯২ জন শিক্ষার্থী ও পেশাদার কম্পিউটার প্রোগ্রামার অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে ৩৭০ জন তৃতীয় অর্থাৎ অনলাইনের চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেন। প্রতিযোগিতার বাছাই পর্বে চীন ও ভারত থেকে সর্বোচ্চসংখ্যক প্রোগ্রামার অংশ নেন। এর মধ্যে চীন থেকে এক হাজার ৭৪৯ জন এবং ভারত থেকে এক হাজার ৬২৪ জন প্রোগ্রামার কোয়ালিফিকেশন পর্বে অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে ভারতের চারজন তৃতীয় রাউন্ড পর্যন্ত যেতে পারলেও কেউ চূড়ান্ত পর্বে অংশ নিতে পারছেন না।
বাংলাদেশ থেকে মোট ১২০ জন বাছাই পর্বে অংশ নেন এবং পাঁচজন তৃতীয় পর্ব পর্যন্ত উত্তীর্ণ হন। তাঁরা হলেন ব্রিটিশি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি শিক্ষার্থী মুশফিকুর রউফ, মুক্ত সফটওয়্যার লিমিটেডের সফটওয়্যার প্রকৌশলী সাব্বির ইউসুফ, মনজুরুর রহমান খান, সামী জহুর এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের (সিএসই) শিক্ষার্থী তাসনিম ইমরান।
এই সাফল্য সম্পর্কে বুয়েটের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ প্রথম আলোকে জানান, আমাদের এই সাফল্যই বলে দিচ্ছে যে দেশের উন্নয়নের জন্য আসলে কোথায় বিনিয়োগ করতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে এবং উন্নয়নের পথে যেতে হলে এই তরুণ মেধাবীদের হাতেই নেতৃত্ব তুলে দিতে হবে। তিনি বাংলাদেশের প্রোগ্রামারদের এ ধরনের সফলতাকে তুলে ধরা এবং সহযোগিতার করার জন্য আহ্বান জানান।
এসিএম আইসিপিসি ও জাতীয় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার বিচারক এবং মুক্ত সফটওয়্যারের প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রোগ্রামিংয়ের চর্চা আরও বাড়াতে হবে। গুগল কোডজ্যামের বিস্তারিত তথ্য http://code.google.com/codejam সাইটে এবং বাংলাদেশ প্রোগ্রামারদের পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে www.go-hero.net/jam/10/regions/Bangladesh ওয়েবসাইটে।