দাদা মুরগি থেকে শুরু করে মুরগির তৈরি খাবার উৎপাদনের এক বিশ্বস্ত নাম আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেড। গত ১৭ বছরে আফতাব একটি সমন্বিত প্রোটিন শিল্পে পরিণত হয়েছে। এখানে গ্রান্ড প্যারেন্ট, প্যারেন্ট স্টক, হ্যাচিং ডিম, লেয়ার-ব্রয়লার থেকে ড্রেসিং মুরগি ও মুরগির তৈরি খাবার উৎপাদন করে বাজারজাত করা হচ্ছে; যা বাংলাদেশে এই প্রথম। দণি এশিয়ায় হাতেগোনা চার থেকে পাঁচটি সমন্বিত প্রোটিন শিল্প রয়েছে। তার একটি হচ্ছে বাংলাদেশের আফতাব বহুমুখী ফার্মস; যা বর্তমানে দেশের পোল্ট্রি চাহিদার ১৮ শতাংশ পূরণ করছে। একটি সমন্বিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানসম্পন্ন চিকেন ফুড তৈরির জন্য আফতাব ২০০৭ সালে এশিয়ার শ্রেষ্ঠ লাইভস্টক পুরস্কার পেয়েছে। খাদ্য উৎপাদনে মানসম্পন্ন ব্যবস্থাপনার জন্য লাভ করেছে আইএস ও হ্যাসাপ সনদ। আফতাবের ল্য এখন এ শিল্পের প্রসার এবং দেশের চাহিদা মিটিয়ে আফতাব খাদ্যপণ্য বিদেশে রফতানি করা। এ ল্যে আগামী পাঁচ বছরে আফতাব তার বহুমুখী পোল্ট্রি শিল্পের আকার দ্বিগুণ করতে চায়।

এ প্রসঙ্গে আফতাব বহুমুখী ফার্মসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ হাবিবুল হক বলেন, আমরা এখন গ্রান্ড প্যারেন্ট থেকে মুরগির কুক আইটেম পর্যন্ত উৎপাদন করছি। আমাদের কুক আইটেম তিন মিনিট তেলে ভেজেই খাওয়া যায়। দেশে ক্রমেই পোল্ট্রি পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। বর্তমানে মাথাপিছু মুরগির মাংস খাওয়ার পরিমাণ দুই কেজিতে এসে দাঁড়িয়েছে। সস্তা প্রোটিনের কারণে আগামী পাঁচ বছরে এর পরিমাণ পাঁচ কেজিতে চলে যেতে পারে। সে ল্যে আমরা আমাদের উৎপাদন মতা আগামী পাঁচ বছরে দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা করেছি। এতে দেশের চাহিদা মিটিয়ে আমরা রফতানির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারব।
দেশে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণের ল্যে আফতাব বহুমুখী ফার্মসের যাত্রা শুরম্ন হয় ১৯৯২ সালে। মূলত একটি ছোট পোল্ট্রি ফার্মের মধ্যদিয়ে এ সমন্বিত প্রোটিন শিল্পের কার্যক্রম শুরম্ন করে। প্রথম বছরে মাত্র ৮০ লাখ টাকার পোল্ট্রি সামগ্রি বিক্রি করা হয়। বর্তমানে এ কোম্পানি পোল্ট্রি সামগ্রী বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে গত ১৭ বছরে এ কোম্পানি একটি সমন্বিত পোল্ট্রি শিল্পে পরিণত হয়েছে। এ সময়ে গড়ে উঠেছে আফতাব হ্যাচারি লিমিটেড, আফতাব ফিড প্রোডাক্টস লিমিটেড এবং আফতাব গ্রান্ড প্যারেন্ট ফার্মস লিমিটেড।

আফতাব বহুমুখী ফার্মস এদেশের প্রাচীন শিল্প সংস্থা ইসলাম গ্রুপের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। যার প্রতিষ্ঠাতা এ দেশের একজন বরেণ্য উদ্যোক্তা আলহাজ জহুরুল ইসলাম। জহুরুল ইসলামের জন্মস্থান কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার ভাগলপুর গ্রামেই এ কোম্পানির অবস্থান। দুটি উদ্দেশ্য নিয়ে এ কোম্পানির যাত্রা শুরু হয়। একটি হচ্ছে ভাগলপুরে প্রতিষ্ঠিত জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আয়ের পথ তৈরি এবং ওই অঞ্চলের মানুষের কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে তাদের আত্ম-কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। ইতোমধ্যে অনেকটা সফল হয়েছে এ কোম্পানি। বর্তমানে এ কোম্পানিতে সরাসরি দুই হাজার লোক কাজ করছে। আরও প্রায় ১০ হাজার মানুষ এ শিল্পের ওপর পরোভাবে জীবিকা নির্বাহ করছে।

এ পর্যনত্ম এই বহুমুখী শিল্পে প্রায় ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। এ শিল্পের সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে গ্রান্ড প্যারেন্ট হ্যাচারি। এ হ্যাচারিতে সর্বাধুনিক মেশিনে আধুনিক মানসম্পন্ন মা মুরগির বাচ্চা (প্যারেন্ট স্টক) উৎপাদিত হচ্ছে। যার মাসিক উৎপাদন মতা হচ্ছে এক লাখ ২০ হাজার পিস। এর প্যারেন্ট স্টক দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি হবে। বার্ড ফ্লুর কারণে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্যারেন্ট স্টক রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেই বাংলাদেশ থেকে প্যারেন্ট স্টক রফতানি শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পোল্ট্রি শিল্পের প্যারেন্ট স্টক উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের ল্যে ২০০৬ সালে আফতাব গ্রান্ড প্যারেন্ট ফার্মস লিমিটেডের কার্যক্রম শুরু হয়। বাজিতপুর উপজেলার সরারচর গ্রামে স্থাপন করা হয়েছে এ গ্রান্ড প্যারেন্ট স্টক ফার্মস। বিদেশ থেকে ডিম এনে এক দিন বয়সী দাদা মুরগির বাচ্চা (গ্রান্ড প্যারেন্ট স্টক) উৎপাদন শুরু হয় ২০০৬ সালের ফ্ব্রেব্রুয়ারি মাসে। এক সময় ইউরোপ থেকে এদেশের পোল্ট্রি শিল্পের মালিকরা গ্রান্ড প্যারেন্ট স্টক আমদানি করত। এ পস্ন্যান্টের উৎপাদন শুরু পর থেকে দাদা মুরগির বাচ্চা আমদানি ব্যাপকভাবে হ্রাস পেতে থাকে। বর্তমানে গ্রান্ড প্যারেন্ট স্টক উৎপাদনে বাংলাদেশ পুরোপুরি স্বয়ংসম্পর্ণতা অর্জন করেছে। বার্ড ফুর সংক্রমণের আগে এ কোম্পানির উৎপাদিত বাচ্চা বিদেশেও রফতানি হয়েছে। ওই সময় নেপালে নিয়মিত এ কোম্পানির প্যারেন্ট স্টক রফতানি হতো। সরারচর গ্রামে সম্পূর্ণ পরিবেশ সম্মতভাবে তৈরি চারটি শেডে মাসে ২০ হাজার করে দাদা মুরগির বাচ্চা উৎপাদিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত এ প্লান্টে ছয় লাখ পিস এক দিন বয়সী দাদা মুরগির বাচ্চা উৎপাদিত হয়েছে। এরমধ্যে ছয় হাজার ৫০০ পিস রফতানি হয়েছে নেপালে। বাকি দেশে ব্যবহৃত হয়েছে। বার্ড ফুর কারণে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলে পুনরায় এ বাচ্চা বিদেশে রফতানি শুরু হবে।

আফতাবের রয়েছে গ্রান্ড প্যারেন্ট হ্যাচারি। ওই হ্যাচারিতে এক দিন বয়সী দাদা মুরগির বাচ্চা লালন পালন করে মা মুরগির ডিম (প্যারেন্ট স্টক) উৎপাদন করা হচ্ছে। এর উৎপাদন মতা হচ্ছে প্রতিমাসে এক লাখ ২০ হাজার পিস। এ ডিম শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও রফতানি করা হয়। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও সার্ক দেশসমূহে একদিন বসয়ী মা মুরগির বাচ্চা এবং হ্যাচিং ডিমের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু মা মুরগির বাচ্চা পরিবহন কষ্টসাধ্য ব্যাপার। একমাত্র বাংলাদেশ বিমান ছাড়া অন্য কোন এয়ারলাইন্স এ বাচ্চা পরিবহন করে না। আবার বিমানের যে সময়সূচী তাতে ওই বাচ্চা পরিবহন করে বিদেশের খামারে নিতে তা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মৃত্যু হারও বেড়ে যায়। তবে সার্ক দেশসমূহে একদিন বসয়ী মা মুরগির বাচ্চা রফতানির ব্যাপক সুযোগ এবং চাহিদাও রয়েছে। যা থেকে বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারে।

আফতাবের রয়েছে নিজস্ব প্যারেন্ট স্টক ফার্ম, যা আফতাব হ্যাচারি লিমিটেড নামে পরিচিত। বর্তমানে এ হ্যাচারিতে বছরে পাঁচ লাখ পিস একদিন বয়সী লেয়ার ও ব্রয়লার মা মুরগির বাচ্চা উৎপাদিত হচ্ছে। অর্থাৎ গ্রান্ড প্যারেন্ট হ্যাচারিতে উৎপাদিত ডিম থেকে এখানে বছরে পাঁচ লাখ পিস এক দিন বয়সী লেয়ার ও ব্রয়লার বাচ্চা উৎপাদন করা হচ্ছে। এই বাচ্চার ৩০ শতাংশ আফতাব হ্যাচারিতে সরাসরি ব্যবহার করে হ্যাচিং ডিম উৎপাদন করা হচ্ছে। অবশিষ্ট ৭০ শতাংশ বাচ্চা বাইরে বিক্রি ও নির্বাচিত চুক্তিবদ্ধ খামারিদের দেয়া হচ্ছে লালন পালন করে ডিম উৎপাদনের জন্য। দণি এশিয়ায় একমাত্র আফতাব বহুমুখী ফার্মই চুক্তিবদ্ধ খামারীদের মাধ্যমে মা মুরগির ডিম উৎপাদন শুরু করেছে। এর মাধ্যমে বেকারদের কর্মসংস্থানের এক দারুণ সুযোগ তৈরি হয়েছে। আফতাব থেকেই খামারীদের একদিন বয়সী বিডার বাচ্চা দেয়া হয়। সঙ্গে দেয়া হয় খাদ্য, ওষুধ, ভ্যাক্সিন প্রভৃতি। এ সব কিছই দেয়া হয় ঋণ হিসেবে। ২২ থেকে ২৪ সপ্তাহ পর মা মুরগিগুলো ডিম পাড়তে শুরু করে। আফতাব ওই ডিমগুলো নির্দিষ্ট দামে কিনে নেয়। বর্তমানে কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি উপজেলার ১৩০ চুক্তিবদ্ধ খামারী এই হ্যাচিং ডিম উৎপাদন করছে। এদের বার্ষিক মতা আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার। দুই-তিন সুপারভাইজার সর্বণিক এই খামারীদের কার্যক্রম তদারক করছে। এছাড়া ভেটেরিনারি ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত খামারগুলো পরিদর্শন করে খামারীদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে।

নিজস্ব হ্যাচারি এবং চুক্তিবদ্ধ খামারীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত হ্যাচিং ডিমগুলো আবার নিজেরাই ব্যবহার করে বাণিজ্যিকভিত্তিতে একদিন বয়সী লেয়ার ও ব্রয়লার বাচ্চা উৎপাদন করা হচ্ছে। প্রথমে এই হ্যাচারির উৎপাদন মতা ছিল প্রতিমাসে পাঁচ লাখ পিস। ব্যাপক চাহিদার কারণে ২০০৩ সালে এ হ্যাচারির মতা প্রতি মাসে ৩৮ লাখ পিস করা হয়েছে। এ জন্য কিশোরগঞ্জের কামালপুরে একটি হ্যাচারি কমপেস্নক্স গড়ে তোলা হয়েছে। এই হ্যাচারি কমপেস্নক্সে উৎপাদিত ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির বাচ্চা নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সারাদেশে বাজারজাত করা হচ্ছে। আবার আফতাব নিজেরাও ব্যবহার করে ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন করছে।
দেশে পোল্টি শিল্পের বিকাশের জন্য মানসম্পন্ন পোল্ট্রি খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেদিকে ল্য রেখে আফতাব প্রতিষ্ঠা করেছে আধুনিক পশুখাদ্য উৎপাদনের কারখানা। যা থেকে শুধু মান সম্পন্ন মুরগির খাবারই উৎপাদিত হচ্ছে না, উৎপাদিত হচ্ছে মাছ এবং গবাদিপশুর খাদ্য। এ সকল খাদ্য নিজস্ব বিতরণ ব্যবস্থার মাধ্যমে সারাদেশে বাজারজাত করা হচ্ছে। ১৯৯৬ সালে প্রতিঘণ্টায় আড়াই টন উৎপাদন মতা সম্পন্ন পোল্ট্রি ফিড মিল দিয়ে আফতাব ফিড প্রডাক্টের যাত্রা শুরম্ন হয়। অব্যাহতভাবে পশুখাদ্যের চাহিদা ব্যাপাক বৃদ্ধির কারণে এই কারখানার মতা বর্তমানে প্রতিমাসে ২৫ হাজার টনে বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাংলাদেশ মাছ চাষ এবং ডেইরি ফার্মের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এর জন্য প্রয়োজন মানসম্পন্ন খাবারের। দেশে চারণ ভূমির পরিমাণ ক্রমেই কমে যাওয়ায় গবাদিপশুর খাদ্যের ব্যাপাক চাহিদা বেড়ে গেছে। সেই চাহিদা পূরণেই আফাতাব পোল্ট্রি ফিডের পাশাপাশি ফিশ ফিড ও ক্যাটল ফিড উৎপাদন করছে।

আফতাব বহুমুখী ফার্মের সকল কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা জহুরুল ইসলামের জন্মভূমি ভাগলপুর গ্রাম। ওই গ্রামের মানুষ এখন ছোট ছোট পোল্ট্রি খামার করে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। আফতাব থেকে তাদেরে একদিন বয়সী ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা, খাবার এবং ওষুধপত্র দেয়া হচ্ছে। পাঁচ শ’ চুক্তিবদ্ধ খামারি বর্তমানে আফতাবের কাছ থেকে বাচ্চা নিয়ে লালন পালন করছে। এদের এক একটির মতা হচ্ছে এক হাজার থেকে তিন হাজার পিস। লালন পালনের পর আবার আফতাব বহুমুখী ফার্মস তাদের কাছ থেকে ন্যায্য দামে পরিণত ব্রয়লার মুরগি কিনে নিচ্ছে। যা নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে ঢাকায় বিক্রি এবং প্রক্রিয়াজাত তৈরি খাবার প্রসত্মুতে ব্যবহৃত হচ্ছে।

চাহিদার প্রতি ল্য রেখে আফতাব দেশে প্রথম স্থাপন করেছে আধুনিক পোল্ট্রি প্রসেসিং পস্ন্যান্ট। নেদারল্যান্ডসের বিখ্যাত স্টর্ক কোম্পানির কারিগরি সহায়তায় এ প্রসেসিং প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে সর্বাধুনিক প্রক্রিয়ায় ব্যাকটেরিয়া মুক্ত হালাল ব্রয়লার মুরগি প্রসেস করা হচ্ছে। এ কারখানায় প্রতি দিন তিন হাজার থেকে চার হাজার মুরগি প্রসেস করা হয়।

শুধু প্রসেস ব্রয়লার মুরগি বাজারজাত করেই আফতাব ক্ষান্ত থাকেনি। বর্তমানে আফতাব মুরগি থেকে তৈরি খাবার (রেডি ফুড) প্রস্তুত করেও বাজারজাত করছে। এজন্য স্থাপন করা হয়েছে রেডি ফুড প্রসেসিং পস্ন্যান্ট। এখানে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ কেজি তৈরি খাবার প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে। তৈরিকৃত প্রধান খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে- চিকেন নাগেটস, বার্গার পেটিজ, তন্দুরি নাগেটস, ক্রিসপি উইংস, ফ্রাইড ড্রামসস্টিক এবং সামি কাবাব। আফতাব এখন এই খাবারগুলো বিদেশে রফতানির প্রসত্মুতি নিচ্ছে। এজন্য ড্রেসিং পস্ন্যান্টে আইএসও ও হ্যাসাপ মানসম্পন্ন একটি ‘ফ্রিজার’ স্থাপন করা হয়েছে। যা মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপীয় দেশগুলোতে বাংলাদেশের মুরগির তৈরি নানাবিধ তৈরি খাবার রফতানি পথ সুগম করে দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জনাব শাহ হাবিবুল হক বলেন, মুসলিম দেশ হওয়ায় বিদেশে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশে মুরগির তৈরি নানা রকমের তৈরি খাবারের বিপুল চাহিদা রয়েছে। আমরা ২০০৮ সালে দুবাইতে পোল্ট্রি মেলায় অংশ নিয়ে এ রফতানি বাজার তৈরি করতে পেরেছি। ওখানে আমাদের প্রসেস মুরগি এবং মুরগির তৈরি নানা রকমের সুস্বাদু খাবার রফতানির বিরাট সুযোগ রয়েছে। আমরা এখন অপোয় আছি বার্ডফু সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের। ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলেই আমরা রফতানি শুরুকরব।