ব্ল্যাক লাইট,
শাহ মুহাম্মদ মোশাহিদ,
প্রচ্ছদ: আহমেদ ফারুক, প্রকাশ:
প্রিয়মুখ প্রকাশনী,  মূল্য: ১০৫ টাকা।

অলসদের নিয়ে গল্পটি হয়ত সবারই জানা। ঐ যে রাজা ঘোষণা দেন, রাজ্যের সবচেয়ে অলসকে পুরষ্কার দেয়া হবে। তেমনই এক অলস প্রকৃতির লোক শাহ মুহাম্মদ মোশাহিদ। তাকে এমনি এমনিই অলসের তকমা দেয়া হচ্ছে না। এবারের বই মেলায় ‘ব্ল্যাক লাইট’ নামে তার একটি কিশোর থ্রিলার প্রকাশিত হয়েছে। আর এ বইয়ের ভূমিকায় তার সহকর্মী সোহেল অটল লিখেছেন, পৃথিবীর শীর্ষ দশ অলসের তালিকার প্রথম দিকেই থাকবে মোশাহিদের নাম। তাছাড়া লেখক নিজেই স্বীকার করেছেন বিষয়টি। জন্মের পর অলসতার কারণে তিনি নাকি চিৎকার পর্যন্ত দেন নি।

মোশাহিদের আলসেমির কারণে মাকড়সার জালে ঘর ভরে গেলেও মনোজগতে সবসময়ই সচল থাকেন তিনি। যার প্রমাণ প্যারাসাইকোলজির উপর ভিত্তি করে লেখা এই থ্রিলার ‘ব্ল্যাক লাইট’। এখানে তিনি ঠিক মাকড়সার জালের মতোই জাল বুনেছেন রহস্যের। তারপর তা ছড়িয়ে দিয়েছেন নানা দিকে। এ জট খুলতে গিয়ে পাঠকও পড়ে যাবেন ধাঁধায়। এক সময় নিজেকেও আবিষ্কার করতে পারেন ঘোর নিশুতিতে, চাঁদের মতো সুন্দর গ্রাম চান্দেরটেকে। চান্দেরটেকের নীরবতা খান খান করে উদয় হয় এক পশ্চিমা পিশাচের। চুষে নেয় মানুষের রক্ত। আপনি অশরীরিতে বিশ্বাসী হন বা না হন, রহস্য আপনাকে তাড়িয়ে বেড়াবে। রহস্যের কিনারা করতে আপনাকে সঙ্গী হতে হবে হরর বইয়ের পোকা মুমিতুর। ও ‘ব্ল্যাক লাইটের নায়ক’। সারাক্ষণ শুধু হরর বই নিয়ে থাকে। ডুবে থাকে অন্য জগতে। দূরন্ত চিতার ক্ষিপ্র গতিতে ও শক্তি পায়। কালো বেড়ালের জ্বলজ্বলে চোখে দেখে আলো। কালো রঙের আলো। অথচ সে অতিপ্রাকৃতে বিশ্বাস করে না, ভয়ঙ্করকে ভয়ও করে না। আর মুমিতুর আচরণে বিরক্ত তার খালাতো ভাই মাশরাফি।

একদিকে চান্দেরটেকের পিশাচ, অন্যদিকে মুমিতুর পাগলামো। রহস্যের জটিল বুনন। এ বুনন একে একে খুলে আনেন প্রফেসর ফিহির হোসেন। ড্রাকুলা, পিশাচ আর রাক্ষস ভর্তি বইটির প্রচ্ছদও হয়েছে ভয়ঙ্কর। পিলে চমকে উঠা এ প্রচ্ছদটি করেছেন আহমেদ ফারুক।