শালিক পাছেরিফর্মস বর্গের অন্তর্ভুক্ত ময়না জাতীয় একপ্রকার পাখি। স্টার্নিডি পরিবারভুক্ত এ পাখিটির সাথে স্টার্লিং জাতীয় পাখির মিল আছে।আকারে মাঝারি (কবুতরের চেয়ে একটু ছোট)। ময়না/শালিক কালো বর্ণের একটি সুমিষ্ট কন্ঠের পাখি। কয়েকটি প্রজাতি মানুষের কথা এবং শব্দ নকল করতে পারে। যেমন পাহাড়ি ময়না। তাই অনেকে শখ করে এদের পুষে থাকে। গায়ের রঙ সাধারণত গাঢ়, কখনো কখনো বাদামী। কিছু কিছু প্রজাতির গায়ের রঙ হলুদ।এরা অনেক সময় ধূসর আবার সাদা বর্ণেরও হয়। এদের ঠোট ও পা কাচা হলুদের মত।গড় দৈর্ঘ্য ২৫ সে.মি.।  

সাধারনত southern and eastern Asia’র শালিকরা ধূসর বর্ণ এবং North America, Australia, South Africa and New Zealand এর ময়নারা কালো বর্ণের হয়। এদের ইংরেজী নাম Common Myna আর দ্বিপদ নাম Acridotheres tristis .এদের গলার স্বর একেক সময় একেক রকম । ভয় পেলে চ্যা চ্যা শব্দ করে আর খেয়ে দেয়ে পেট ভরা থাকলে মনের সুখে গান গায়…চুচুর..চুর, কক কক ইত্যাদি কিচিমিচি। এরা সাধারণত ডাল, ভাত, গম, যব ও নানা রকমের পোকামাকর খায়। তবে যে সে পোকা মাকর নয় সবুজ রঙের ফড়িং জাতীয় পোকাই বেশী পছন্দ।  

এরা সাড়া দিন মাঠ জঙ্গল পেড়িয়ে রাতে এসে একটি নিদির্ষ্ট গাছে রাত কাটায়। বৈশাখ আষাঢ় মাসে বাসা তৈরী করে তবে একে বারে জঙ্গলে নয়…….লোকালয়ের মধ্যে কোন গাছে বা বাড়ীর চিলেকোঠায় । খড়কুটো, সাপের খোলস, নেকড়া কোনা যা পায় তা দিয়েই বাসা তৈরী করে যাতে শীল্পের ছোয়া দখো যায় না আর তাতে নীল রঙের চারটি ডিম পারে।  

 বেশ কয়েক প্রজাতির শালিক দেখা যায় এর মধ্যে রয়েছে- 

১। ভাত শালিক: বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শালিক। এটি এখানে খুব দেখা যায়।এর ইংরেজী নাম Indian Myna আর দ্বিপদ নাম Acridotheres tristis  

২। ঝুটি শালিক: যার ঠোটেঁর শুরুতে ঝুঁটির মত থাকে।ইংরেজী নাম Jungle Myna আর দ্বিপদ নাম Acridotheres fuscus। ঝুঁট শালিক ২৩ সেমি মত লম্বা হয়, ডিম দেয় ৩-৬টি।  

  

৩। গো শালিক: বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ গায়ক পাখি। গোবরে শালিকের ইংরেজী নাম Gracupica contra বা Asian Pied Starling আবার Pied Myna নামেও পরিচিত। আর বৈজ্ঞানিক নাম Gracupica contra।

> allbirdhere.blogspot.com