শঙ্খের মত সাদা এদের মাথা, ঘাঢ়, বুক, পেটের তলা’র পালক আর তাই বুঝি এদের নাম হয়েছে শঙ্খচিল। কিন্তু ডানা দু’টি ও শরীরের অন্যান্য অংশ খয়েরী। শংখ চিলের গড় দৈর্ঘ্য ৪৮ সে.মি.। নদী-নালা, জলাশয়ের আশপাশে এদের দেখা যায় বেশী কারন মাছই এদের প্রধান খাবার। শঙ্খচিলের ইংরেজি নাম Brahminy Kite, বৈজ্ঞানিক নাম Haliastur indus। এরা অ্যাক্সিপিট্রিডি পরিবারের সদস্য। বাংলাদেশে দেখতে পাওয়া প্রায় ৪৩ প্রজাতির চিল, বাজ, ঈগল ও শকুন একই পরিবারের সদস্য।জলাশয়, নদীর পাড়ের দিকে এবং বর্ষায় ডুবে যাওয়া ধানক্ষেতের আশপাশে এদের সন্ধান পাওয়া যায়। মাছ, ব্যাঙ, ছোটখাটো সরীসৃপ, পোকামাকড় তেকে আরম্ভ করে মানুষের ফেলে দেওয়া বা পরিত্যক্ত খাবারের টুকরা পর্যন্ত এদের খাদ্য।

বাংলাদেশে এই চিল স্থায়ী বাসিন্দা তবে নদী-নালা ও জলাশয় দূষণের ফলে বিপন্ন হয়ে পড়ছে রূপসী বাংলার প্রিয় কবি জীবনানন্দের এই শঙ্খচিল।