গত বোরো মৌসুমে মাঠ পর্যায়ে অভাবনীয় সাফল্যের পর পাকিস্তান ও ভারতের বাসমতির সমমানের বাংলাদেশের বাংলামতি ধান চাষে চাষীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় খুলনার ডুমুরিয়ায় প্রথম যে অগ্রবর্তী চাষী এ ধানের চাষ করেন, তাঁর সংরক্ষিত বাংলামতি ধানের বীজ এখন দেশের ৫২ জেলায় পৌঁছে গেছে। আর মাত্র ১২টি জেলায় এ ধানের বীজ পৌঁছলে একজন চাষীর ঘর থেকে এক মৌসুমেই সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে তা রেকর্ড সৃষ্টি হবে।

 এই রেকর্ড সৃষ্টি করতে চলেছেন এ ধানের সফল চাষী ডুমুরিয়া উপজেলার মেছাঘোনা গ্রামের বাসিন্দা এস এম আতিয়ার রহমান।তিনি  বলেন, ‘তিন পার্বত্য জেলা, বৃহত্তর পটুয়াখালী, ভোলা, চাঁদপুর, বরগুনা, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলা ছাড়া দেশের অন্য সব জেলার কমপক্ষে দুই-একজন আগ্রহী চাষী ও বিভিন্ন পেশাজীবী আসন্ন বোরো মৌসুমে চাষের জন্য তাঁর ক্ষেতের বীজ সংগ্রহ করেছেন।’

 যেসব জেলার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক চাষী (৭-৮ জন) এ ধানের বীজ নিয়েছেন সেই জেলাগুলোর মধ্যে আছে দিনাজপুর, কিশোরগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও বৃহত্তর রংপুর। এর ফলে এবার বাংলামতি ধান চাষের তৃতীয় বছরে সারা দেশে এ ধান আবাদকারী চাষীর সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে যাবে।