একবার ভাবুন, টাইপ টু ডায়বেটিক রোগী কে রক্তে চিনি পরিমাপে দিনে পাঁচবার করে আর সুঁই ফোটাতে হবে না। চোখের অশ্রু থেকেই কন্টাক্ট লেন্স পরিমান করে নেবে রক্তে চিনির পরিমান!!! আর কলপনা নয়- বিশ্বখ্যাত গুগুল শুধু সে্টেলাইট /ল্যান্ড ইমেজ ম্যাপিং, ইন্টারেক্টিভ চশমা তেই ক্ষ্যান্ত নয়। মাত্র দু’দিন আগে (১৬ জানুয়ারী) চোখে পরিধেয় যোগ্য প্রোটটাইপ কন্টাক্ট লেন্স (স্মার্ট লেন্স )উন্মুক্ত করেছে গুগল। লেন্সে সচ্ছ কম্পিঊটার চিপস ( সফট ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট) আবর্তিত থাকবে, গ্লুকোজ সেন্সর এবং চুলের মতো সুক্ষ এন্টেনা, যা চিনির পরিমান পরিমাপে এবং নিরুপন সংক্রান্তীয় তথ্য চোখের পানি থেকে মুহূর্তেই পাঠাতে সক্ষম হবে মোবাইল ফোনে, ল্যাপটপে এবং রোগীর পছন্দের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে। সুস্থ মানুশের দেহের চিনির পরিমানের তারতম্য ঘটে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে, বিভিন্ন কারনে। কখনো কখনো অনেকেই জানেনই না তাঁদের রক্তে চিনির (গ্লুকোজ) এর পরিমান। হঠাত অতিরিক্ত চিনির পরিমান হতে পারে মারাত্মক স্ব্যাস্থ্য ঝু্কিপূর্ন। যাক মানবদেহে চিনি সংক্রান্তীয় ব্যাপার, চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের এখতিয়ার।

তথ্য প্রযুক্তির লোক হিশেবে, এই নতুন প্রযুক্তি যে চিকিৎসা বিজ্ঞানে এবং অন্যান্য রোগ নিরুপনে নতুন দিগন্তের উন্মোচন করলো। এটা নিশ্চিত করেই বলতে পারি। এ প্রযুক্তির ব্যাবহার , প্রয়োগ অপরিসীম। সকল আধুনিক প্রযুক্তির মতো এই প্রযুক্তির ও মন্দ দিক থাকবে এটাও নিশ্চিত। অনেকেই তো চাইবেন না তাদের “দৃস্টি” হ্যাক হয়ে যাক। আমিও তো চাইবো না আমার চোখে আমার নিজের একান্তই ব্যাক্তিগত “দেখা” গুলু আমার বেডরুম থেকে “ ডিজিটালি ছিনতাই, চুরি, হাইজ্যাক অথবা রাহাজানি” হয়ে যাক। পাশ্চাত্যের “প্রাইভেসী রাইট “ এবং “সিভিল রাইট” ওয়ালারা হয়তো সোচ্চার হবেন এ নিয়ে। পিছিয়ে পরা উন্নয়নশীল দেশে হয়তো মিটিং মিছিল, মানব বন্ধন ও হবে কয়েক দফা। হয়তো এ প্রযুক্তির জন্য নতুন এথিক্যল কোড অফ কন্ডাক্ট ও প্রনয়ন হবে।

আপাততঃ গুগল তাদের নতুন উদ্ভাবনা নিয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এবং ড্রাগ এডমিনষ্ট্রেশন এর অনুমোদনে দাড়স্থ হবে, এবং বিনিয়োগকারী সন্ধান কার্যক্রম চালাবে। অনুমোদন মিলে যাবে অতি শিঘ্র আর বিনিয়োগকারী মিলে যাবে পংগপালে। মানবকল্যানে প্রত্যেক নতুন প্রযুক্তির মতো ,আমি দারুন ভাবে শিহরীত এবং পুলকিত।