বিভিন্ন জেলায় অ্যানথ্রাক্স ছড়িয়ে পড়ায় সারাদেশে রেড এলার্ট জারি করেছে সরকার।মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস রোববার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে একথা জানান। তিনি বলেন, সারাদেশের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্টদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত এলাকার পশুর জন্য পাঁচ লাখ ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে।
জেলা পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোনো স্থানে সংক্রমণের নমুনা পেলে তা সংগ্রহ করে পরীক্ষা এবং ভ্যাকসিন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।মন্ত্রী জানান, আক্রান্ত এলাকাগুলোতে ইতোমধ্যেই দুই লাখ ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে। ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে তিন স্তরে। “এর মধ্যে আক্রান্ত এলাকা, পার্শ্ববর্তী এলাকা ও প্রয়োজনে পুরো এলাকায় বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে”, বলেন তিনি।
অ্যানথ্রাক্স ছড়িয়ে পড়ার কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, অনেক পথে পশু আনা-নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন নৌপথেও এসব পরিবহণ করা হচ্ছে। ফলে এ রোগ বিস্তার ঘটছে। তবে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে পার হওয়া সকল প্রাণি পরীক্ষা করে ছাড়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণ রোধে জেলা পর্যায়ে সিভিল সার্জন ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের সতর্ক রাখা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোথাও সংক্রমণের খবর পেলেই নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে লতিফ বিশ্বাস জানান।
অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া বা নিধন করা (কালিং) প্রাণির মালিককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। “তবে এ মুহূর্তে আমাদের তেমন কিছু করার নেই। পশুবীমা আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত পশু মালিকরা ক্ষতিপূরণ পাবেন।”
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আশরাফ আলী জানান, এ পর্যন্ত সারাদেশে ৩২টি গরু অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এছাড়াও ছাগল মারা গেছে ১৭টি।