আমেরিকানদের চেয়ে কানাডিয়ানরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়ার পাশাপাশি প্রায় তিনবছর বেশি বাঁচে। যুক্তরাষ্ট্রে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার অভাবই এ তারতম্যের কারণ বলে মনে করছেন গবেষকরা।
বুধবার যুক্তরাষেট্রর গবেষকরা একথা জানিয়েছেন।
‘বায়োমেড সেন্ট্রাল’স পপুলেশন হেল্থ মেট্রিক্স’ জার্নালে প্রকাশিত এ গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডীয়দের বাঁচার সম্ভাবনা প্রায় ৮০ বছর। সেখানে মার্কিনিদের বাঁচার সম্ভাবনা ৭৭ বছরের কিছু বেশি সময়।
১৯ বছর বয়সের স্বাস্থ্যবান একজন কানাডীয় তরুণ আরো ৫২ বছর বাঁচতে পারে। সেখানে একই বয়সের একজন আমেরিকানের বাঁচার সম্ভাবনা ৪৯ বছর কয়েক মাস।
ওরেগনের পোর্টল্যান্ডের ‘কাইজার পারমেন্টি সেন্টার ফর হেল্থ রিসার্চ’ এর ডেভিড ফিনি ও তার সহকর্মীরা বলেন, “কানাডা ও আমেরিকা দুটি প্রতিবেশী দেশ এবং উভয় দেশের জনগণের জীবনযাত্রামান প্রায় একই হওয়া সত্ত্বেও আমেরিকানদের চেয়ে কানাডীয়দের আয়ু বেশি।”
“এর কারণ হতে পারে দুটি: স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার পদ্ধতিতে পার্থক্য এবং বিরাজমান দারিদ্র্য।”
কানাডীয়রা যেখানে বিনামূল্যে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা পান, সেখানে আমেরিকানদের স্বাস্থ্যবীমার জন্য চাকরি, আয় এবং বয়স নিয়ে নানা ঝামেলা পোহাতে হয় এবং যা মোটেও সবার জন্য সুবিধাজনক নয়।
এছাড়া, ১৯৭০ দশকের পর থেকে কানাডার চেয়ে আমেরিকায় স্বাস্থ্যসেবা ব্যয়ও বেশি হয়েছে।
আট হাজার ছয় শ’ ৮৮ জন কানাডীয় ও আমেরিকানের ওপর টেলিফোন সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে গবেষণাটি করা হয়েছে।