কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলার শিকার আল আমিনের (৩০) বিচ্ছিন্ন পা দুই দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তবে তাঁর বিচ্ছিন্ন হাত উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সদর হাসপাতাল মর্গে খণ্ডিত হাতের ময়নাতদন্ত হয়েছে।নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল আলম জানান, আল আমিনের বিচ্ছিন্ন পা উদ্ধারে পুলিশি অভিযান চলছে।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা রফিকুলকে রিমান্ডে নেওয়া হলে বিস্তারিত জানা যাবে।বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আল আমিনের অবস্থা গুরুতর। তাঁর প্রচুর রক্তের প্রয়োজন বলে আত্মীয়স্বজন জানিয়েছেন।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিকলীর দক্ষিণ দামপাড়া চৌধুরীহাটি গ্রামের দুই ভাই আবদুল মজিদ ও আবদুল আজিজের মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে এর আগে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

সর্বশেষ গত শনিবার রাত ১০টার দিকে নুরুল নামের এক যুবক দামপাড়া বাজারে যাওয়ার কথা বলে আবদুল মজিদের ছেলে আল আমিনকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন। পরে তাঁর চাচাতো ভাই আবদুল আজিজের ছেলে রফিকুল ও তাঁর লোকজন আল আমিনকে সেখান থেকে অপহরণ করে নিয়ে যান। তাঁরা আল আমিনকে চৌধুরীপাড়ায় রমু মেম্বারের বাড়ির কাছে নিয়ে গিয়ে বাঁ হাত ও পা কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন।

তাঁর চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তাঁকে উদ্ধার করে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটলে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ওসি জানান,পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আল আমিনের হাতের বিচ্ছিন্ন অংশ উদ্ধার করেছে।

রফিকুলকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল তাঁকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত ১৬ সেপ্টেম্বর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন।