চট্টগ্রামে সাইবার অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গত রোববার রাতে জিয়াউর রহমান চৌধুরী ওরফে বিকি চৌধুরী (২৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তিনি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে কখনো ছেলে, কখনো মেয়ে সেজে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে প্রতারণা করতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জিয়াউর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সেনাসদস্যসহ সমাজের কিছু প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিকে ফেসবুকে বন্ধু বানান। পরে নিজে মেয়ে সেজে মুঠোফোনে বিভিন্ন নম্বর থেকে তাঁদের ফোন করে ও খুদে বার্তা পাঠিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতেন।

পাঁচলাইশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজিজ আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষক, সেনা কর্মকর্তা, আইনজীবীসহ বিভিন্ন লোকের সঙ্গে জিয়া ফেসবুকে বন্ধুত্ব স্থাপন করেন। পরে তাঁদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন। একপর্যায়ে অন্য নম্বর থেকে মেয়ের কণ্ঠে কথা বলে এবং খুদে বার্তা পাঠিয়ে নানারকম প্রলোভন দিতেন এই যুবক। ভবিষ্যতে প্রতারণা (ব্ল্যাকমেইল) করার জন্যই তিনি এ ফাঁদ পাতেন। এ চক্রে আরও কেউ আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

পুলিশ আরও জানায়, ফোনে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মঞ্জুরুল কিবরিয়াকে খুদে বার্তার মাধ্যমে হুমকি দেন জিয়া। খুদে বার্তায় জিয়া লিখেন, ‘তোমার জন্য আজরাইল অপেক্ষা করছে, তোমাকে আমি দেখে নেব।’ এ হুমকির পর ওই শিক্ষক গত ২৬ জুলাই পাঁচলাইশ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। নিজের মুঠোফোন থেকে টাকা খরচ করে তিনি মেয়ে সেজে সবাইকে ফোন করতেন।

পুলিশ জানায়, কিবরিয়ার জিডির সূত্র ধরে জিয়াকে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ নগরের প্রবর্তক মোড় থেকে আটক করে। আজ সোমবার সকাল থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিয়া কখনো বিকি চৌধুরী, কখনো ফারিয়া ফারাহ অনিন্দিতা, কখনো জিয়াউর নামে ফেসবুকে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন।

তাঁর বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। থানাহাজতে আটক জিয়া বলেন, ‘আমি দুষ্টুমি করার জন্য এসব করেছি। অনেক মেজর, শিক্ষক,ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধুত্ব স্থাপন করে তাঁদের সঙ্গে মেয়েলি কণ্ঠে কথা বলি। মেয়েলি কণ্ঠে কথা বলার সময় আমার নাম হতো ফারিয়া।’