ওল্ড ট্রাফোর্ডে সিরিজের শেষ টেস্টে শনিবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয়দিন শেষে তামিম ইকবালের শতকের পরও বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ২১৬ রানে। ফলে ইংল্যান্ড এগিয়ে রইলো ২০৩ রানে।

প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড তোলে ৪১৯ রান। আর সফরকারীদের সংগ্রহ ২১৬। ফলে ফলোঅন থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থাকতেই সব উইকেট হারায় বাংলাদেশ। যদিও এখনো পর্যন্ত ফলোঅন ডাকেননি ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ড্র স্ট্রাউস।

দ্বিতীয়দিনে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে ভাঙ্গন ধরে দলীয় ১২৬ রানের মাথায়। স্টিভেন ফিনের বলে আজমল শাহজাদের হাতে ধরা পড়েন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস ৩৬ রানে। দলীয় ১৫৩ রানে তার সঙ্গী হন জুনায়েদ সিদ্দিকী ব্যক্তিগত ১ রানে।

তবে নিজের ছন্দেই খেলেছেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। জেমস অ্যান্ডারসনের বলে প্রায়রের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে পূর্ণ করেন টানা দ্বিতীয় শতক। খেলেন ১০৮ রানের চমৎকার একটি ইনিংস। ১১৪ বলে ১১টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি।

অবশ্য এর আগে লডর্সে প্রথম টেস্টে ৯৪ বলে করেন দ্রুততম শতক। এছাড়া ম্যানচেস্টারের এ শতকের মধ্য নিয়ে টেস্টে চতুর্থ শতকও হাঁকালেন তিনি।

তামিমের বিদায়ের পর পরই ছন্দপতন ঘটে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের। জহুরল ইসলাম ৭, সাকিব ১০, মোহাম্মদ আশরাফুল ১১, মাহমুদুল্লাহ ৮ ও মুশফিকুর রহিম ১১ রানে ফিরে গেলে গুটিয়ে যায় সফরকারীদের ইনিংস।

গ্রায়েম সোয়ান পাঁচটি উইকেট নেন ৭৬ রানে। ৪৫ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন আজমল শাহজাদ। এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টিভেন ফিন।

আগের দিনের পাঁচ উইকেটে ২৭৫ রান নিয়ে দ্বিতীয়দিনে খেলতে নেমে সাকিব আল হাসানের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ইয়ান বেল ১২৮ রানে। ১২টি চার ও একটি ছক্কার মারেন তিনি।

২০ রানে গ্রায়েম সোয়ান, আজমল শাহজাদ ৫ ও স্টিভেন ফিন বিদায় নেন শূন্য রানে। তবে মাত্র ৭ রানের জন্য শতক থেকে বঞ্চিত হন ম্যাট প্রায়র। সাকিবের বলে কায়েসের হাতে ধরা পড়ে ব্যক্তিগত ৯৩ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

পাঁচটি উইকেট নেন সাকিব আল হাসান, ১২১ রানে। শফিউল ইসলাম ও আব্দুর রাজ্জাক উভয়েই নিয়েছেন দু’টি করে উইকেট। এছাড়া শাহাদাত হোসেন নিয়েছেন একটি উইকেট।