গত ৩০ জুন ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম এর সদস্যপদ লাভ করে বাংলাদেশ। সম্প্রতি বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম এ বাংলাদেশের সদস্যপদের জন্য আবেদন করে। তারই প্রেক্ষাপটে সদস্যপদ অর্জন করে বাংলাদেশ।
ইউনিকোড হচ্ছে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত আন্তর্জাতিক বর্ণ সংকেতায়ন ব্যবস্থা। উল্লেখ্য, বিশ্বের প্রতিটি প্রধান ভাষার বর্ণমালার জন্য ইউনিকোড এ নির্দিষ্ট মান আছে। আর এই মান নির্ধারণের কাজটি করে ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম।
কমপিউটার সিস্টেমে কোনো ভাষালিপির এনকোডিং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত না হলে সেই ভাষায় ইন্টারনেটে বিশ্বব্যাপী তথ্য বিনিময় করা যায় না। এ মূহুর্তে বাংলা ভাষালিপি ইউনিকোডে অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় কমপিউটারে সহজেই বাংলা ভাষা লেখা, তথ্য বিনিময় ছাড়াও বাড়তি সুবিধা পাওয়া সম্ভব হবে।
চীনা, জাপানি, স্প্যানিশ, হিন্দি ইত্যাদি ভাষার মানুষেরা দীর্ঘদিন থেকে কমপিউটারে নিজ ভাষা ব্যবহারের সুবিধা পেয়ে আসছে। উল্লেখ্য, ভারতের পে আঞ্চলিক ভাষা হিসেবে সর্বপ্রথম বাংলা ভাষালিপি ইউনিকোডে নিবন্ধিত হয়। কিন্তু কমপিউটারে বাংলা ব্যবহার করা গেলেও এখনও আমাদের মাতৃভাষার বেশকিছু বর্ণমালা (যেমন টাকার চিহ্ন, ৎ, , ইত্যাদি) বাদ আছে। এ মূহুর্তে সদস্যপদ পাওয়ায় চিহ্নিত সমস্যগুলো অচিরেই দূর হয়ে যাবে। সঙ্গে ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম এর বেশকিছু সুবিধাও পেতে শুরু করবে বাংলাদেশ।