তৃতীয় এশীয় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১০ গতকাল সোমবার শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সাত দিনব্যাপী এই মেলা চলবে। কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড (সেমস) ইউএসএ এবং বাংলাদেশের সার্বিক সহযোগিতায় এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোগ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সমারোহ হয়েছে মেলায়। একই ভেন্যুতে একই সঙ্গে সহযোগী প্রদর্শনী হিসেবে আবাসন শিল্প, নির্মাণ সামগ্রী, নির্মাণ কৌশল ও যন্ত্রপাতির ওপর ১৩তম কনএক্সপো শুরু হয়েছে। মেলা দুটি প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে।
আয়োজকরা জানান, এশিয়া হচ্ছে বিশ্বের মধ্যে উন্নয়নশীল অঞ্চল যার এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলেই বার্ষিক জিডিপি গড় ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ার গড় ৬ দশমিক ৪ শতাংশ বাকি বিশ্বের তুলনায় ৩ দশমিক ১ শতাংশ। ২০০১ সাল থেকে পৃথিবীর অর্থনৈতিক উন্নয়নের পেছনে এশিয়ার অবদান অর্ধেকের বেশি। এশিয়া পৃথিবীর জিডিপি বৃদ্ধিতে প্রায় ২১ শতাংশ সাহায্য করছে। এতে এশিয়ার ভোগ্যপণ্যের বাজার ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এবারের মেলা দুটিতে সাতটি দেশ থেকে ১০০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। তারা বিভিন্ন পণ্য ও সেবাগুলো যেমন ইলেকট্রনিক্স, যোগাযোগ প্রযুক্তি, খাদ্য ও পানীয়, স্বাস্থ্য সেবা পণ্য, প্রসাধন সামগ্রী, গৃহসামগ্রী, ফ্যাশন ও আনুষঙ্গিক, কারু ও হস্তশিল্প, আবাসন প্রকল্প, নির্মাণ সামগ্রী ইত্যাদি প্রদর্শন করছে। এছাড়া মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানি পণ্যসামগ্রীর সম্পূর্ণ আলাদা প্যাভিলিয়ন রয়েছে।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ূয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন আমেরিকান চেম্বারস অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) সভাপতি আফতাবুল ইসলাম, গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও নাসির এ চৌধুরী, রহিমআফরোজ ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুদাসসের মুর্তজা মইন, রূপায়ণ গ্রুপের উপদেষ্টা একে ফিরোজ আহমেদ, সেমস গ্গ্নোবাল ও এশিয়া প্যাসিফিকের সভাপতি মেহেরুন এন ইসলাম।
তৃতীয় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার কো-স্পন্সর হিসেবে থাকছে রহিমআফরোজ এবং ইন্স্যুরেন্স পার্টনার হিসেবে থাকছে গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। ১৩তম কনএক্সপোর কো-স্পন্সর হলো রূপায়ণ গ্রুপ। প্রদর্শনী দুটির মিডিয়া পার্টনার দৈনিক সমকাল ও দৈনিক নিউ এজ এবং রেডিও পার্টনার রেডিও আমার।
You must log in to post a comment.