রমজান মাসে ব্যবসায়ীরা ভোজ্যতেলের দাম বাড়াবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি এ. কে. আজাদ। তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে প্রতি মাসে এক লাখ টন ভোজ্যতেল প্রয়োজন। বর্তমানে ব্যবসায়ীদের কাছে এক লাখ টন তেলের মজুদ রয়েছে।  গতকাল সন্ধ্যায় সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভোজ্যতেলের মজুদ ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

তিনি আরও বলেন, রমজানে ৫০ হাজার টন অতিরিক্ত তেলের চাহিদা থাকে। এ চাহিদা অনুযায়ী ওই পরিমাণ তেল বর্তমানে বন্দরে খালাসের পর্যায়ে রয়েছে। তাই রমজানে ভোজ্যতেলের মূল্য বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে আবারও সরকার ও এফবিসিসিআইর বৈঠক হবে। সেখানেই চূড়ান্ত করা হবে তেলের দাম বাড়বে, না কমবে।
বর্তমানে মিলগেটে প্রতি কেজি সয়াবিন ৭৫ টাকা, সুপার পাম অয়েল ৭০ টাকা এবং পাম অয়েল ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতা পর্যায়ে প্রতি কেজি সয়াবিন ৮০ টাকা এবং পামঅয়েল ৭২ থেকে ৭৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রমজান মাসে চাহিদা বাড়লেও তেলের দাম আর বাড়বে না বলে জানান এ. কে. আজাদ। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা এ খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। তাই শুধু রোজার সময় দাম বাড়ানোর কোনো কারণ নেই। দু’এক টাকা মূল্য এদিক-সেদিক হতে পারে।

বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মর্তুজা রেজা চৌধুরী, এফবিসিসিআই সভাপতি এ. কে. আজাদ, ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এমএ রউফ চৌধুরী, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল হোসেন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।