জেলায় আউশ আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে চলতি মৌসুমে কৃষি বিভাগ  কিশোরগঞ্জ জেলায় বিশেষ প্রণোদনা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ কর্মসূচির আওতায় আউশ আবাদে কৃষকদের উত্সাহিত করার লক্ষ্যে কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে সার বিতরণের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর জন্য জেলায় মোট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮৭ লাখ ৯৯ হাজার ৭০০ টাকা। জেলার ৮ উপজেলাকে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। উপজেলাগুলো হল- হোসেনপুর, কিশোরগঞ্জ সদর, পাকুন্দিয়া, কটিয়াদী, করিমগঞ্জ, বাজিতপুর, কুলিয়ারচর ও ভৈরব।

চলতি আউশ মৌসুমে মোট ১৩ হাজার ৫৩৮জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক  উফশী আউশ ধান চাষাবাদে সহায়তার জন্য বিনামূল্যে তিন জাতের রাসায়নিক সার পাবে। প্রত্যেক কৃষককের মাঝে প্রতি বিঘা জমি আবাদের জন্য ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি টিএসপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। প্রণোদনা কর্মসূচির আওতাধীন সুবিধাপ্রাপ্ত উপজেলাওয়ারি কৃষকের সংখ্যা হল- হোসেনপুরে ৩ হাজার, কিশোরগঞ্জ সদরে ৪ হাজার ৩৮, পাকুন্দিয়ায় ৩ হাজার, কটিয়াদীতে ২ হাজার ১০০, করিমগঞ্জে ৫০০, বাজিতপুরে ৪০০, কুলিয়ারচরে ৪০০ ও ভৈরবে ১০০। ইতিমধ্যে হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া উপজেলা ব্যতীত সকল উপজেলাতেই সার বিতরণ কর্মসূচি সমাপ্ত হয়েছে। কৃষকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, আউশ আবাদে ফলন কম ও ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কৃষকরা এই ধান আবাদে অনাগ্রহী হয়ে ওঠে। ফলে প্রত্যেক আউশ মৌসুমে অনেক জমি অনাবাদী পড়ে থাকে। পতিত জমি আউশ আবাদের আওতায় আনার জন্যই কৃষকদের এই সার ভর্তুকি হিসেবে দেয়া হচ্ছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়। উল্লেখ্য, চলতি মৌসুমে কিশোরগঞ্জ জেলায় মোট ২৬ হাজার ৪১১ হেক্টর জমিতে আউশ ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে।