র্যাবের গুলিত আহত রহিমা বেগমকে সোমবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র প্রদান করলে ভৈরব থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তাকে ফেনসিডিল রাখা ও পুলিশের কাজে বাধা দানের অভিযোগে দায়েরকৃত দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। বিকালে তাকে কিশোরগঞ্জ আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. বিল্লাল হোসাইন কাস্টডি ওয়ারেন্ট ইস্যু করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদেশে আরো উল্লেখ করা হয়, জেল-হাজতে থাকাকালে তার শারীরিক অসঙ্গতি বা অসুস্থতা দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার যথাযথ চিকিত্সার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৩ জুন বিকালে র্যাব-১১-এর একটি দল ভৈরবের পঞ্চবটি পুকুরপাড় এলাকার একটি বাড়িতে মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান পরিচালনাকালে ফারুক মিয়াকে ২৫ বোতল ও রহিমা বেগমকে ১৬ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে। পরে ধ্বস্তাধ্বস্তির একপর্যায়ে এএসআই আ. হান্নানের পিস্তল থেকে এক রাউন্ড গুলি বের হয়ে রহিমা বেগমের মাথায় বিদ্ধ হয়। এরপর থেকে সে র্যাবের তত্ত্বাবধানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ-তে চিকিত্সাধীন ছিল। ইতিমধ্যে পুলিশ তাকে দু’বার গ্রেফতার দেখানোর আবেদন জানালে আদালত তা নাকচ করে দেন। ভৈরব থানার ওসি মো. শাহজাহান কবীর আদালতে প্রেরিত ফরোয়ার্ডিংয়ে রহিমাকে একজন মাদক ব্যবসায়ী বলে উল্লেখ করেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসীদের ভিন্নমত রয়েছে।

– ইত্তেফাক