জমিসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার নওবাড়িয়া গ্রামে গতকাল মঙ্গলবার দুই পক্ষের সংঘর্ষে ফজলুর রহমান (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। এ ঘটনায় পুলিশ নয়জনকে আটক করেছে। এ সময় দুই পক্ষের বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রফিকুল ও আক্কাসকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সমর্থক খুরশিদ উদ্দিনের একটি জমির দখল নেওয়ার জন্য প্রতিপক্ষ বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থক মহিউদ্দিনের পক্ষের শতাধিক লোক দেশি অস্ত্র নিয়ে সকালে খুরশিদ উদ্দিনের পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা করে। এতে ২০-২৫ জন আহত হন। হামলাকারীরা তাঁদের বাড়ি, স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় হামলাকারীদের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন খুরশিদ উদ্দিনের পক্ষের ফজলুর রহমান। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। ফজলুরের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে খুরশিদ উদ্দিনের সমর্থকেরা সংগঠিত হয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করে। এতে দুজন গুরুতর আহত হন। তাঁদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে করগাঁও ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘মহিউদ্দিনের সমর্থকেরাই প্রথমে হামলা করে। তারা বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও আমার একটি হোন্ডা ভাঙচুর করে। এতে আমি ও কনস্টেবল আমির হোসেন আহত হই। পরে কটিয়াদী থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনসুর আহমেদ জানান, এ ঘটনায় উভয় পক্ষের নয়জনকে আটক করা হয়েছে। খুরশিদ উদ্দিনের পক্ষের আহত ভেলু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘পুলিশের সামনেই সন্ত্রাসীরা আমাদের বাড়িঘর ও দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তারা অসুস্থ ফজলুর রহমানকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করলে তিনি মারা যান।’
মহিউদ্দিনের পক্ষের ইব্রাহীম দাবি করে বলেন, ‘আমাদের অন্তত আট-নয়জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তা ছাড়া পুলিশের উপস্থিতিতে আমাদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।’