অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপে এসেছিলেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপ জয়। দেশের মানুষের জন্য ট্রফি আর মায়ের জন্য সোনার বলটি আর্জেন্টিনায় নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে ছিলো তার। অথচ বিশ্বকাপ থেকে ফিরতে হলো একবুক জ্বালা নিয়ে।
যার নামে ম্যারাডোনা প্রসংশা বানি দিতেন। নিজের সন্তানের মতো আগলে রাখতেন ফিফার বর্ষ সেরা ফুটবলারকে। সেই মেসি প্রিয় কোচকে খুশি করতে পারেননি। সব আশায় জল ঢেলে দিয়েছে জার্মানি। বিশ্বকাপে তাদের আজন্ম শত্রু এই দেশটি আর্জেন্টিনাকে শুধু কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় দেয়নি। সঙ্গে দিয়েছে মণ মণ ওজনের চারটি গোল। এ ভার বইতে পারছে না আর্জেন্টাইনরা।
যন্ত্রণা বড় কষ্ট দিচ্ছে ফুটবল শিল্পী মেসিকে। দলের জন্য, দেশের জন্য কি কষ্টটাই মাঠে তিনি করেছেন। একের পর এক গোল বানিয়ে দিয়েছেন সতীর্থ খেলোয়াড়দের। দলের সাফল্যই ছিলো তাঁর কাছে সবচেয়ে প্রিয়। তাই স্বার্থপরের মতো গোলের পেছনে ছোটেননি। অন্যকে দিয়ে গোল করিয়েছেন।
বলতে হয় মেসি জাদুতেই টানা ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে এসেছে ম্যারাডোনার দল। প্রিয় শীষ্যকে সামান্য অসুবিধাতেও পড়তে দেননি ম্যারাডোনা। মেসির হয়ে সংবাদ সম্মেলনে দিনের পর দিন নিরাপত্তা দাবি করেছেন ম্যারাডোনা। মেসির কান্না সহ্য হচ্ছিলো না আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বরের।
সত্যিই মেসি কেঁদেছেন। সাজঘরে ফিরে চোখের জল ঝড়িয়েছেন অঝরে।