কুলিয়ারচর উপজেলার আয়তন ১০৪.০১ বর্গ কিলোমিটার এবং লোকসংখ্যা ১,৬৫,০৬০ জন। এখানে থানা সদর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৩ সালে। জনশ্রুতি হল, আজ থেকে প্রায় দুইশো বছর পূর্বে বর্তমান এই বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন ছিল। কালের বিবর্তনে এখানে চর পড়ে। এই চরের একটি বটগাছ সংলগ্ন বিভিন্ন গাছে হাজার হাজার ‘কুলি’ (কোকিল) পাখি ছিল। তাদের কলরবে চরের বিস্তীর্ন এলাকা মুখরিত থাকতো। এই কুলি পাখির নাম থেকে এলাকার নাম কুলিয়ারচর হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। আবার আরেকটি মত হচ্ছে, কুলি খাঁ নামে এক বিখ্যাত সুবাদার এখানে আসেন। তাঁর সময়ে মেঘনা ও কালী নদীতে জলদস্যুদের ব্যাপক প্রভাব ছিল। সুবাদার কুলি খাঁ’র নেতৃত্বে ঐসব জলদস্যুর পতন হয়। অনেকেই অনুমান করেন যেন কুলিখাঁ’র চর থেকেই পরবর্তীতে নামে পরিচিতি লাভ করে।