নতুন করে চুক্তি না হওয়ার পর এবার মুখ খুললেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। অভিযোগের তীর তাক করলেন আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের(এএফএ) প্রধান হুলিও গ্রন্ডোনা এবং জাতীয় দলের ম্যানেজার কার্লোস বিলার্ডোর দিকে। বললেন জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব থেকে তার বিদায়ের জন্য দায়ী এই দু’জন।।
রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টাইন ফুটবল ‘ঈশ্বর’ বলেন, ”গ্রন্ডোনা আমাকে মিথ্যা বলেছে আর বিলার্ডো করেছে বিশ্বাসঘাতকতা।”
মঙ্গলবার ম্যারাডোনাকে সরিয়ে আর্জেন্টিনার ভারপ্রাপ্ত কোচ করা হয়েছে সার্জিও বাতিস্তাকে। এএফএ জানায়, ম্যারাডোনার শর্তের সঙ্গে মিল না হওয়াতেই তার সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ^কাপে জার্মানির বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে ৪-০ গোলে হারের পর সাজঘরে কি ঘটেছিল সেটাই তুলে ধরেন ম্যারাডোনা। তিনি বলেন, ”ওভাবে বিদায়ের পর সাজঘরে এসেছিল গ্রন্ডোনা। সবাইকে সান্ত্বনা জানিয়ে খেলোয়াড়দের সামনেই জানিয়ে দেয়- আমার কাজে অ্যাসোসিয়েশন খুশি। তাই সে চায় যেন কাজ চালিয়ে যাই আমি।”
কিন্তু দল দেশে ফিরতেই পাল্টে যান গ্রন্ডোনা। এ নিয়ে ম্যারাডোনার বক্তব্য, ”সোমবার আমি গ্রন্ডোনার সঙ্গে কথা বলতে যাই। পাঁচ মিনিট কথাবার্তা বলার পরেই ও আমাকে নতুন করে চুক্তির প্রস্তাব পাই। তবে শর্ত দেয় আমার কোচিং স্টাফদের সাতজনকে বাদ দিতে হবে। যেটি মানা আমার পক্ষে কোনোমতেই সম্ভব ছিল না। তাতেই আমি বুঝে যাই সে চায় না আমি আর আর্জেন্টিনার কোচ থাকি। গ্রন্ডোনা ভালো করেই জানতো এমন প্রস্তাব আমি হ্যাঁ বলবো না।”
লিখিত বক্তব্যে ম্যারাডোনা সমালোচনা করেছেন তার একসময়ের কোচ ৭১ বছর বয়সী বিলার্ডোর। ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনার নেতৃত্বে যখন আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতে তখন কোচ ছিলেন বিলার্ডোই। ম্যারাডোনা বলেন, ”বিশ^কাপ থেকে বিদায়ের শোকে আমরা যখন মুহ্যমান তখন আড়াল থেকে আমাকে সরিয়ে দেয়ার জন্য কলকাঠি নাড়ছিল বিলার্ডো।”
সংবাদ সম্মেলনে কিছুটা আবেগী হয়ে পড়েন ম্যারাডোনা। তিনি বলেন, ”দল যখন দিশেহারা, বিভেদে বিভক্ত, এমন কঠিন সময়েই আমি দলের দায়িত্ব নিই। ফেডারেশনের চাওয়াই ছিল আমার মাধ্যমে দলে ঐক্য ফিরিয়ে আনা। সেই কাজটা আমি মনপ্রাণ ঢেলে করেছি। কিন্তু আর্জেন্টিনার ফুটবলে কিছু লোক আছে যারা দলের চেয়ে নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত। আবারো একটা কথা জানিয়ে রাখতে চাই- আমি ‘থাকতেই’ চেয়েছিলাম।”