১৬ নভেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা বেলা হাটতে হাটতে চোখ যেন একটা জায়গায় এসে আটকে যায়!নাম তার আব্দুর রহিম (৩৪)। দেশের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও। পরিবার নিয়ে ঢাকায় মহাখালীর নতুন বাজারে থাকে। সন্তানের পড়াশোনার খরচ জোগাতে মহাখালীতে রাস্তায় বসেছিল। কিছুটা ধাক্কা খেলাম তাকে দেখে।  হাত নেই ।  একটা পায়েও রয়েছে সমস্যা।  দিব্যি নিজের জীবনের কষ্টগাঁথা কথাগুলো সাদা কাগজে লিখে চলেছে।কারো প্রতি অভিমানের কথা নয়।নিজের অক্ষমতার কথা জানিয়ে একটু সাহায্যের কথা লিখছিল। সাধারণ মানুষও সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ দিয়ে যাচ্ছে ।রহিম রা পায়ে লিখে আর এই ঘুনে ধরা সমাজকে আঙ্গুল দিয়ে জানান দেয় জীবন সংগ্রামে নিজেদের আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাবের কথা।অনেকে অল্পতেই যখন হতাশায় ডুবে যায়,তখন এই রহিমরাই যেন অন্যকে বাঁচতে শেখায়।একটু বিস্তারিত জানতে চাইলেই রহিম বললো,’এই সব ছবি ফেসবুকে দিয়েন না,এর আগে কত মানুষই ছবি দিছে,এই সবে কিছু হয় না,আমার কষ্টের কথা অন্যে জানলে আমার কি লাভ! তাই যার দয়া হইবো,সে এখানেই দিব’।

rahim1

rahim2

আসলেই,রহিমের কথাই ঠিক ।ফেসবুক বা কোথাও ছাপালে রহিমের কোন লাভ নেই, হবেও না! তবুও যেন মন মানলো না। রহিমদের মতো মানুষদের জন্য হয়তো কিছু করতে পারবো না। কিন্তু যারা জীবনের নেতিবাচক অবস্থায় পড়ে আশাহীন,তারা হয়তো রহিমদের কাছে কিছু আমাদের শেখার আছে। জীবনের কঠিন অবস্থাতেও কিভাবে নিজের স্বপ্নকে লালন করতে হয়!জানি না,রহিমের সন্তানরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে কি না? রহিমের অনেক দিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে কি না? তবে বিধাতার কাছে একটাই মিনতি,হে বিধাতা, রহিমদের কষ্ট যেন স্বার্থক হয়। রহিমদের প্রতি যেন সমাজের বিত্তবানদের সদয় দৃষ্টি হয়। জীবনযুদ্ধে জয়ী হোক এ দেশের অগণিত রহিমরা।

জয় হোক মানবতার, জয় হোক রহিমদের ।