ঝিঙে নিয়ে সুন্দর একটা কবিতা আছে, ‘ঝিঙে ফুল! ঝিঙে ফুল!/ সবুজ পাতার দেশে ফিরোজিয়া ফিঙে-কুল—’গ্রামে বাঁশের মাচায় ঝিঙে ফুল দোলার দৃশ্য দেখা গেলেও শহরে খুব একটা দেখা যায় না। ফুল না পাওয়া গেলেও শহরে সবজিটি কিন্তু চাইলেই মেলে।
ঝিঙে নিয়ে জানতে চাইলে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ জানালেন, ‘এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ, ভিটামিন সি, রিবোফ্লাবিন, জিংক, আয়রন, ম্যাগনেসিয়ামসহ প্রয়োজনীয় অনেক পুষ্টি উপাদান থাকে। তবে যাদের আইবিএস পজিটিভ অর্থাৎ ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম আছে, তাঁরা সবজিটি একটু হিসাব করে খাবেন।’
রক্ত পরিষ্কারক: রক্ত পরিষ্কারকের কাজ করে ঝিঙে। নিয়মিত এই সবজি খেলে অনেক ধরনের রক্তরোগ এড়ানো যায়। সেই সঙ্গে যকৃৎও ভালো থাকে।
পরিপাকতন্ত্রের বন্ধু: ঝিঙে হজম-প্রক্রিয়াকে কর্মক্ষম রাখে। দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্য। পাইলস রোগ সারাতেও এটি কার্যকর। পাকস্থলীর কার্যকারিতাকেও বাড়াতে পারে।
জন্ডিস সারাবে: জন্ডিসের উপশমে খেতে পারেন ঝিঙে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: এই সবজিটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। নিয়মিত ঝিঙে খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত থাকে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: এতে পানির পরিমাণ বেশি। ফলে ওজন কম থাকে।
প্রতিরোধ-ক্ষমতা বাড়ায়: ঝিঙের উপাদানগুলো শরীরের প্রতিরক্ষা বর্ম তৈরি করে।
হাড় ও দাঁতের জন্য: এতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে। এ জন্য হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করতে ঝিঙেকে বেছে নিতে পারেন।
সংক্রমণ এড়াতে: সবজিটিতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান বিদ্যমান। তাই শরীরকে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচায় ঝিঙে।
তথ্য সূত্রঃ অধুনা