কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আজ বুধবার সকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছে। উপজেলার রসুলপুর গ্রামের হাজি বাড়ি এবং জমিরা বাড়ির লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। আহত ব্যক্তিদের ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে গ্রামের বিদ্যুত্ সঞ্চালন লাইনে ত্রুটি দেখা দেয়। পরে স্থানীয় এক বিদ্যুত্কর্মী দিয়ে তা মেরামত করা হয়। এ কাজে কিছু টাকা খরচ হয়। সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে ওই টাকা পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেয় গ্রামবাসী। সে অনুসারে কয়েকজন যুবক টাকা সংগ্রহ করেন। এ অর্থ জমা রাখা নিয়ে দুই বাড়ির যুবকদের মধ্যে বিরোধ ও কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে উভয়পক্ষ আজ সকাল আটটার দিকে গ্রামের পতিত জমিতে দা, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
জমিরা বাড়ির নেতৃত্ব দেওয়া আলী আকবর বলেন, ‘দুই বাড়ি থেকে ৩০০ টাকা সংগ্রহ করা হয়। হাজি বাড়ির যুবকেরা চেয়েছিল লাইনম্যানকে ১৫০ টাকা দিয়ে বাকি টাকা খরচ করতে। আমাদের বাড়ির যুবকেরা এতে বাধা দেয়।’ হাজি বাড়ির নেতৃত্ব দেওয়া হানিফ সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘জমিরা বাড়ির কয়েকজন যুবক টাকা মেরে দিতে চাইলে আমাদের বাড়ির ছেলেরা বাধা দেয়।’
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান কবির জানান, আরও সহিংসতা এড়াতে রসুলপুর গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
You must log in to post a comment.