মধ্য প্রহরে, রুপালী চাঁদনী আর স্থব্ধ নীরবতায়,
লক্ষীপেঁচার মত সতর্ক ধ্যানে, শব্দের অনাবিল অনুসন্ধান
মস্তিষ্কের পরতে পরতে, শব্দিক অভিধান ঘেটে ঘেটে
কেটে যাচ্ছে সময় আমার, আজব এক আরশী যন্ত্রের পাশে।
বিনিময়ে মুহুর্তের উষ্ণতা, চিন্তার কম্পনে-
ক্ষনিকের নীরবতায়, অসুরের সুখের খোঁজ ।
আমাতে তীব্রতা অনুভব হৃদপিন্ডের ক্ষুদ্র পরিসরে।
কল্পিত প্রণয়ের বিলাসী আখাংকায় পুলকিত আমি –
নিবির পরিচর্চায়- নিজেকে উলট পালট করছি,
আচমকা শ্রুতিমুগ্ধ কিছু আসবে সৃষ্টির কেন্দ্র হতে।
এমনি এক সময়, অস্তিত্ব জুড়ে প্রচন্ড অধিকার নিয়ে
হাপোস হোপোস – এক মায়াবী দেবীর,
প্রকান্ড দানবী ঢংয়ে, অদ্ভুত ক্ষীপ্রতায় মহাপ্রলয় ঘটিয়ে
সব কিছু এলোমেলো করে – আবার হারিয়ে যায় অন্তরীক্ষ্যে।
নেমে আসে হীম শীতলতা, আমার চেতনার চারপাশ ঘিরে,
ভোর হয়, অথর্ব সকাল আমার ভূলে যায় বিগত বিনিদ্র রাত্রী,
কালের ধোঁয়াশায় পুনর্বার নিজেকে হারাবো বলে।
– জি,এম ফ্রেজার
বুঝতে অনেক কষ্ট হয়েছে,অনেক সুন্দর ।