থরে থরে সাজানো বই আর কাপড়ের ভাঁজে
যত্নে তুলে লুকিয়ে রেখেছি তোমাকে
ওদের পরিপাটি করার ছলে আলতো ছুঁয়ে যাই তোমার-
নিটোল অংগুলী
কখনোবা ফিসফিস কথা বলি
তোমার অট্টহাসিতে ভাংগে ছবির ফ্রেম, আলমারীর কাঁচ
আমি মুখ চেপে হাসি, “কি যে দুষ্টূমী!”

গোসলে সাবান গায়ে মেখে আয়নায় তাকাতেই দেখি- তুমি
কি অসভ্যতা! শেষ-মেশ স্নান-ঘরে?
ড্যাব-ড্যাব চোখে তাকিয়ে কেমন-
গিলছো আমাকে
তাঁত শাড়ী পড়ে কপালে টিপ পড়ছি যেই-
খুলে নিলে খোঁপার কাঁটা
এলো চুল সামলে নিয়ে পেছনে তাকাতেই দেখি- নেই
কোথায় পালালে?

দিন শেষে সন্ধ্যা ঘনিয়ে নামে রাত্রী
সকল অস্থিরতা নিয়ে তোমায় খোঁজ়া
জানলার বাইরে আকাশ ধূসর গাঢ়
বাগান জুড়ে নিঃস্তব্ধতা
বই এর ভাঁজ, কাপড়ের আড়াল, কোথাও নেই
খোলা দরজার কপাট বাতাস খেলে উপচে পড়ে এ ওর গায়
নির্জনতা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে আলো
হাসছো তির্যক প্রদীপ সলতে জুড়ে-
আমার তুমি!

লিখেছেনঃ সঞ্চারিণী
৬ই ডিসেম্বর, ২০১০ ইং