হৃদপিন্ডের চারপাশে হিমশীতলতা নিয়ে
তুমি যখন আমার কবিতায় নিজের অস্তিত্ব খুঁজে অস্থির –
তখনো তুমি আমার কবিতার চুড়ান্ত গহবরে – ভাবার্থের নির্যাসে।
নিজেকে খুঁজেছো ধারাবাহিক শৃংখলে
অথচ তুমি আমার চিন্তার পরতে পরতে ।
এলোমেলো শব্দের পাজলে।
তোমার অনুভূতিগুলো অনিশ্চয়তায়, প্রায়শই অন্যমনষ্কতায়!
তারমধ্যেও কিছু ভালোলাগা শুধুই মুহুর্তের জন্য –
যেখানে এই কথাটিও উহ্য অর্থহীন ।
যার অনুভূতি সহস্রগুন মধুর ও উপভোগ্য।
বলোতো দেখি –
যা তোমার জীবনের সবচে বেশী উপভোগ্য ছিলো –
অতঃপর যা খুঁজে পাবে তাও হয়তো – হবে কোন অস্থির যন্ত্রনা!
বড্ড দেরী হয়ে গেছে এই পথে,
আমার উৎবেলিত আকাংখা যখন ক্ষীপ্রতায় –
নিজেকে ভূলে যাই, প্রেমিক হয়ে উঠি –
হারিয়ে যাই কৈশোরে, শৃংখল ভূলে।
ভ্রুমরে কিংবা মৌচাকে –
নিজেকে সহসা বিদ্ধ করি সহস্র বিষাক্ত হুলে,
তবুও আমি আপোষহীন, নির্লজ্জ, পুরুষ!
তোমার স্পর্শের কামনায়, নিশ্চুপ স্থবিরতায়, প্রহর গুনি ।
হঠাৎ উষ্ণতায় নিজেকে পিষে উলটপালট – সৃষ্টির স্বাদ খুঁজি।
অজান্তে ভেজা চোখে তুমি; মূল্যবোধের প্রশ্নে ফেরারী –
নানান ভনিতায় আড়াল করবে তোমার বাহ্যিক আবয়ব ।
বিরাগ ভঙ্গিমায় রক্তাক্ত চোখে আটকে দেবে আমার অগ্রগামী স্পর্শ,
নিজেকে উত্তপ্ত রেখে, সুপ্ত জাগরনে কান্নার জল ঢালবে বারংবার;
অথচ অজান্তে আমাকেই খুঁজছো তুমি –
ব্যস্ত নগরের যানযটে, সন্ধ্যের লালীমায় তোমার পাশে।
অবসরে – প্রচন্ড অভিমানে আমার চুল ছিড়তে–
সেখানেও আমি অবিচল – উহ্য;
কেবলই অনুভবে – লেনদেনহীন ভালোলাগায়!
সারাক্ষন তোমার বেদনাবিধুর কষ্টে!
– জি, এম ফ্রেজার # ০৯/০৯/২০১২