“পাই” এর ভূমিকা টা যখন ত্রিকোণমিতির সমীকরণ থেকে নির্নয়ক কাজ শেষে দৌড়ে পালিয়ে জাগতিক ব্যূহ্য বলয়ে প্রবেশ করে তখন এই “পাই” এর তেলেসমাতি যে কি, যারা উচ্চতর ক্যালকুলাস এর ফাইনাইট ম্যাথামেটিক্স/আপ্ল্যাইড (ব্যবহারিক) গণিত নিয়ে নাড়াচড়া করেন তাদের কাছেই “পাই” ধরা দেয় ওর ময়ূর পুচ্ছ রূপে।
গণিত শাস্ত্রের ত্রিকোণমিতি শাখায় গ্রীক বর্ন (π) “পাই” – আর মান বা ভেল্যু অথবা এর ভূমিকা আসলেও অপরিসীম। আপাতঃভাবে “পাই” এর মান π = 3.1415953589459… এবং চলছে ।
জানামতে ,আমাদের নিত্যদিনের চা’য়ের কাপ এ ঘূর্নায়মান দুধ ফোটা থেকে শুরু করে , ঝড় মহাসেনের চক্ষূ বেয়ে মহাবিশ্বের উল্কা ঝড়ের অবিরাম কি দারুণ দারুণ সব নকশা এঁকে যাচ্ছে “পাই”। অজানাতে, “পাই” কি করে যাচ্ছে- জানতে মাঝে মাঝে চিত্ত বড়ই অস্থির হয়। তালে গোলে গুলিয়ে যায় সব -মহাকালের উর্দ্ধমুখী ধূম্রকুন্ডলী অথবা পাতাল মুখী স্রোত কুণ্ডলীর অতল গহ্বরে।
এতটুকু আমি জানি ঘূর্নায়মান পৃথিবী গ্রহের বাসিন্দা হিশাবে “পাই” এর কাছে আমি বড়ই কৃতজ্ঞ দূর্বাঘাষের উপর জমে থাকা টলমলে এক ফোটা জল থেকে শুরু করে আকাশের বিভিন্ন রকম ফুলে ফেঁপে ফুঁসিয়ে উঠা মেঘপুঁঞ্জে আমি অবিরাম দেখে যাই বিশ্ব গোলকে পরান ভুলানো নয়নাভিরাম কত নকশা !!!
আজ মার্চ ১৪, ২০১৫ বা মার্কীন ফরম্যাটে ৩/১8/১৫ – আজকের তারিখটার সাথে “পাই” এর মানের কি দূর্দান্ত সামঞ্জস্য!! আর প্রতি শত বছরে একবার করে ঘুরে আসে এই “পাই দিবস” । সবাইকে আজকে সহ আগামী শতকের “পাই” দিবসের আগাম শুভেচ্ছা।