পাকুন্দিয়া ভৌগোলিক অব্হানঃ পাকুন্দিয়া কিশোরগন্জ জেলার সীমান্তবর্তী একটি উপজেলা পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্র নদী দ্বারা ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও দক্ষিণ পশ্চিমে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া!দক্ষিণে নরসিংদীর মনোহরদী পূর্বে দক্ষীন পূর্বে কটিয়াদী উপজেলা উত্বরপূর্ব দিকে কিশোরগন্জ সদর উত্বরে হোসেনপুর উপজেলা ঘীরে পাকুন্দিয়ার অবস্হান! প্রধান নদী ব্রম্মপুত্র! উপজেলার অভ্যন্তরে সিংগুয়া নামে আর একটি নদী বিল মইসবের থেকে কালিয়াচাপড়া হয়ে জেলার ভাটি এলাকা নিকলীর সাথে ঘোড়াউত্রায় মিশেছে!প্রধান শিল্প প্রতিষ্টানঃ কালিয়া চাপড়া চিনিকল(বিলুপ্ত) বর্তমানে নিটোল চিনিকন হিসেবে বেসরকারী পর্যায়ে এখনো চালু আছে!এ উপজেলায় কোন রেল যোগাযোগ নেই!সমতল উর্বর জমি এলাকার কৃষকদের প্রধান সম্পদ! প্রায় বন্যাহিন ঊচুঁ এলাকায় অবসহান বলা যায়, বিশে, করে বাহাদিয়ার বাঁধের মাধ্যমে পুরো উপজেলাকেই বন্যা মুক্ত সম্ভব হয়েছে! বারভূইয়াঁ দের অন্যতম সোনার গার শাসক ঈশা খানের দুর্গ হিসাবে পরিচিত এগারসিন্দুর পাকুন্দিয়ার ঐতিহাসিক স্থান!
পাকুন্দিয়া কিশোরগন্জ জেলার অন্যতম উপজেলা!শিক্ষা সংস্কৃতি ইতিহাসের দিকে এ উপজেলা কিশোরগন্জের অন্য ১৩টি উপজেলা থেকে স্বাতন্ত্র সত্বা নিয়ে দাড়িয়ে!১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই উপজেলা কিশোর গন্জ শহর থেকে দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্হিত!আকর্ষিক অতি বৃষ্টি ছাড়া এ উপজেলায় বন্যা দেখা যায় না!বলা যেতে পারে বাংলাদেশের যথেষ্ট সমৃদ্দশালী এই উপজেলা প্রাকৃতিক ভাবেই ভালো অবস্হানে আছে! দূরভাগ্য হলেও সত্যি কোন সরকারের আমলেই এ উপজেলার অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়নি!অপেক্ষাকৃত অর্থনৈতিক সমৃদ্দির সাথে সড়ক ও বিদ্যুতায়ন যথেষ্ট পিছে আছে এই উপজেলার জনগন!পশ্চিমে ব্রম্বপুত্রের পারে ঐতিহাসিক ঈশাখার দুর্গ ও এককালের বন্দর মীরজাপুর থেকে কটিয়াদী উপজেলার মধ্যপাড়া মহাসড়ক পর্যন্ত ২০ কিমি সড়কের উন্নয়ন না হওয়ায় বিখ্যাত কাচাঁ তরিতরকারী প্রধান উত্পাদন জোন হওয়া সত্বেও দেশের অন্যজেলায় কিংবা রাজধানীর চাহিদা মেঠাতে এ উপজেলার কৃষকরা বরাবরই বন্চিত!এক দিকে অন্যান জেলার চাহিদা মেঠানো যাচ্ছেনা অন্যদিকে কৃষকরা ও বন্চিত হচ্চে তাদের কায়িক পরিশ্রমের ধন বাজারজাত করন ও ন্যায্য মূল্য থেকে! ১টি মাত্র সডকের বেহাল দষার কারণে এ উপজেলা বাসির উত্পাদিত পন্য নিজ জমিতেই পচে গলে নিশেষঃ হয়!কাচাঁ তরিতরকারীর সংরক্ষণ করণে নাই কোন কোল্ড ষ্টোর ও! উপজেলা বাসি আশা করছে বর্তমান মহাজোট সরকার পাকুন্দিয়াকে উন্নয়নের টার্গেট নেবে শতভাগ!সড়ক যোগাযোগের কারণে পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াভাংগা ইউনিয়নের ৬ টি ওয়ার্ডের গ্রামগুলি তাদের প্রশাসলিক কার্যক্রম কটিয়াদী উপজেলায় স্হানানতরিতের পক্ষে দীর্ঘ দিন ধরে দ্বাবী জালিয়ে আসছে!এবং ভৌগুলিক অবস্হানের জন্য এই এলাকার জনগনের উপজেলা হিসাবে কটিয়াদীতে স্হানান্তরিত হলে যথেষ্ট সুবিধা ও উপকৃত হবেন! এ ক্ষেত্রে সরকার কালিয়াচাপড়া ভিত্বিক নতুন উপজেলা প্রশাসন সৃষ্টি করে ৩ উপজেলার খন্ডিত ইউনিয়ন নিয়ে নতুন উপজেলা বানালে আরো ভালো হয়!
প্রধান নদী সমূহঃ পুরনো ব্রম্মপুত্র, নরসুন্দা, বানার।
পাকুন্দিয়া শহরঃ শহরটির আয়তন ৫.০২বর্গ কি.মি., এতে মৌজা আছে ৩ টি। এর লোকসংখা ৪৭৭৩ জন; পুরুষ ৫২.৯৯%,মহিলা ৪৭.০১%। শহরের স্বাক্ষরতার হার ৪২.৩%।
প্রশাসনঃ বর্তমানে পাকুন্দিয়া থানা একটি উপজেলা যা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৩২ সালে। এতে ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ, ৯৭ টি মৌজা, ১৭০ টি গ্রাম আছে।
দর্শণীয় স্থানঃ এইখানে ক্লিক করুন
naton kore prokas koron becoz collage akon 1ta na
There are many historical palaces in pakundia .but here is unappeared.it’s shocking.Besides, at least six colleges in here.only one has included .plz update information accurately.tnx………..
সত্যি বলেছেন, ৩ বছর ধরে আপরা সেচ্চায় কাজ করে যাচ্ছি পাকুন্দিয়ার কাঊকে পাইনি, যে কিনা পাকুন্দিয়ার কিছু ছবি তুলে পাঠাবে । অন্যান্য থানার অনেক সেচ্ছাসেবক আমাদের ডাটা দিয়ে সাহায্য করেছে ।
ধন্যবাদ । আপনি পাকুন্দিয়ার ৬ টি কলেজের নাম ও ছবি সহ আমাদের পাঠালে কিংবা আপনি যদি পাকুন্দিয়ার শিক্ষা ব্যাবস্থার উপর এটি প্রতিবেদক পাঠান তাহলে আপনার প্রতিবেদন টি পাব্লিশ করা হবে ।
আমি মনে প্রাণে এই সাইটের উন্নতি কামনা করছি। পাকুন্দিয়ার ঐতিহাসিক এগারসিন্দুর গ্রামে’র একজন গর্বিত অধিবাসি আমি। তবে সাইট টি আরো ইউজার ফ্রেন্ডলি করা উচিত বলে মনে করি। আশা করি আপনাদের সাথে থাকতে পারব।
আপনাকে ধন্যবাদ । সাইটের কোন কোন জায়গায় ব্যবহারে সমস্যা হয়েছে জানালে খুশি হব ।
আমি এই সাইটের সদস্য কিন্তু কতদিন পর আমার পোষ্ট সরাসরি প্রকাশিত হবে ? আমি বলতে চাইছি সামহ্যোয়ারইন ব্লগের কথা। তারা প্রথমে একসপ্তাহ ওয়াচে রাখেন, তারপর জেনারেল করেন, এবং পরে সেফ। সেফ হলে কারো লেখা সরাসরি প্রকাশিত হয়। এখানেও কি এই সিসটেম ফলো করা হয়? আমাকে বিস্তারিত জানাবেন। আর ছবি আপলোড করা যায় কিভাবে? ধন্যবাদ…
মহসিন আরমান আপনাকে ধন্যবাদ ।এখানে আপনার পোস্ট এক সপ্তাহ দেখার পর প্রকাশিত করা হবে ।দুঃখিত এখানে ছবি আপলোড করা যায় না ।
আমাদের কিশোরগঞ্জ কে ধন্যবাদ । এ ধরনের কাগজ আরও আগেই বের হওয়া উচিত ছিল। আমি পাকুন্দিয়া থানার শিমুলিয়া গ্রামের ছেলে। সারা বাংলাদেশ সেই সাথে দুনিয়া বাসি জানে এই গ্রাম একটি ঐতিহাসিক গ্রাম। কিশোরগঞ্জ এর ইতিহাস লিখা হল অথচ শিমুলিয়া র কোন লিখা নাই, এটা আমাকে খুবই মর্মাহত করেছে। আমি আশা করব এই নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি একটা লিখা আমরা পাব। এটা আমাদের প্রাণের দাবি।
সম্মানিত পাঠক ! আমাদের কিশোরগঞ্জ কোন লাভ জনক প্রতিষ্ঠান নয়, সম্পূর্ন সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ! আপনার গ্রাম সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে জানাতে আপনি কিশোরগঞ্জ ডট করে একটি রেজিষ্ট্রশন করে নিজেই লিখুন । আর প্রত্যেকে নিজেদের চারপাশ কেতুলে ধরবে সেই লক্ষেইতো কিশোরগঞ্জ ডট কমের জন্ম ।
vaijan apnr gram shimulia ki karone famous ta niye apni ekti post den amra post ti oboshoi active kore dibo
পাকুন্দিয়ার কৃতি ব্যক্তিত্বের মাঝে যারঁ নাম সবছেয়ে আলোচিত হওয়ার দরকার তিনি হলেন মরহূম মাওয়লানা আবদুল হেলিম(রহ) মরহম আবদুল হেলিম (রহ) ছিলেন পুরো জেলা ও প্রতিবেশি জেলায় প্রশিদ্দ কামেলে দ্বিন!কথিত আছে কোন এক মূল্যবান বিশাল গাছের মালিকানা নিয়া খুনখুনি হওয়ার মূখমখি হলে দেন দরবারের বিশিষ্ট জনেরা স্বরনাপন্ন হোন মাওলানা সাহেবের, তিনি বল্লেন আপনারা আল্লাহর নামে বিছার শুরু করবেল ফায়সালা হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ! শুনাযায় তিনি নাকি ঐ গাছের নিকট গিয়ে বলেছিলেন হে তরু যার হক্ব তার মালিকানায় যাও-(উল্লেখ্য গাছটা ৭০ শতাংশ ছিলো এক সিমানায় ৩০শতাংশ ছিলো পার্শ্ববর্তী সীমানায়! গাছের বিশালত্ব এতোই বড় ছিলো যে উভয়েই মালিকানা দ্বাবি করতো! বিছার শালিস আবারো বসলো- আল্লাহর ইচ্ছায় গাছ তার স্বমালিকানার একছত্র অধিকারে ফিরে গেলো! মাওলানা সাহেব প্রকৃত অর্থেই ওলি ছিলেন যার অসংখ্য নমূনা রেখে গিয়েছেন!
পাকুন্দিয়া তথা সারা বাংলাদেশের সু পরিছিত মেজর (অব) মতিউর রহমান। মুসলিম মিল্লাত নামের একটি ইসলামী অরাজনৈতিক সংগটন তৈরি করেছিলেন যার উদ্দেশ্য ছিলো মানুষকে এলমে দ্বিন শিক্ষা দেওয়া! এ বিষয়ে ইনি ৪০ প্রকার ফর্ষে আইনের মাদ্রাসা কায়েম করেছিলেন! ভ্রাম্যমান শিক্ষক দল সারা দেশের প্রত্যেকটা উপজেলায় এ মাদ্রাসা প্রতিষ্টা করেন! মেজর সাহেব কে উস্তাদ মেনে প্রতিষ্টা হচ্ছিলো ইসলামী জ্বানের বিকাশ তখনই জিনেদার জৈনিক হিন্দুর ধর্মান্তরিত কে কেন্দ্র করে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের ঘুষ চাওয়া থেকে ক্ষিপ্ত মেজর সাহেবের সাথে পুলিশের যুদ্ব বেধে যায়! ভূলবূঝা বুঝি থেকে শুরু হয় রণক্ষেত্রের! ১৯৮৯ সালের ১১ই ডিসাম্বার শুরু হয় গোলাগুলি ও মটার সেলের বিকট আওয়াজের যুদ্বের ভয়াবহ শব্দে শিমুলিয়া সহ আশেপাশের গ্রামের সব মানুষ আশ্রয় নেয় ভিন্ন ভিম্ন গ্রামে স্বজন আত্বিয় দের বাড়িতে! পুলিশের আধুনিক অস্রের বিপরীতে মেজর তার দলের হাতিয়ার ছিলো লাঠি! মেজর দলের লাঠির আঘাতে ১০ ১১ জন পুলিশের মৃত্যু ঘটে! স্বিয় পুত্র সহ তার দলের ২২ জনের প্রান হারায় অনাহূত এই রণক্ষেত্রে! ২ জন গ্রামবাসী মহিলা ও প্রাণ দেন! আহত হোন শতাধিক! স্বৈর শাসক এরশাদের হটকারিতামূলক সিদ্বান্ত ও দুরদর্শিতার অভাব থাকার কারণে পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়,একজন সংস্বকারবাদী জনদরদি নেতার শুরুকে দমিয়ে দিয়ে এ এলাকার শান্তি শৃংখলা বিনষ্ট হয়! বিছার ভিবাগিয় তদন্তে পুলিশই দ্বায়ি হয়ে যায়-মেজর ছাড়া পান! পুলিশের নারকীয়তা এতোই ভয়ানক ছিলো যে তারা আশেপাশের গ্রাম গলি থেকে অগ্নি সংযোগের মাধ্যমে মেজর সাহেবের আস্হানা মুখি হচ্ছিলো!(চলবে)
এই অংশ টূকূ বাঙলা ঊইকিপিডিয়া হতে নেওয়া।
আপনার লেখাটার পরিপূর্নতা আশা করছি ।
চালিয়ে যান