২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ভূখণ্ডের প্রায় ৩ ভাগের ১ ভাগ সমুদ্র গভীরে তলিয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। সমুদ্রের এই অবধারিত আগ্রাসন রাতারাতি বা হুট করেই ২০৫০ সালে ঘটবেনা প্রতিদিন, প্রতিঘণ্টা, প্রতিমিনিট ও প্রতিমুহূর্তে সমুদ্র এগিয়ে আসছে এবং আসতে থাকবে। একদিকে দেশ ছোটো হইতেই থাকবে, ফসলের জমি কমতে থাকবে – আর অন্যদিকে আমাদের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।

একবার ভাবেন সেই ভয়াবহতা, পিছনের পঞ্জিভুত সমস্যার মহাপর্বতের চক্রবৃদ্ধি হার বৃদ্ধি আর এক তৃতিয়াংশ ছোটো হওয়া দেশে এখনকার দুই তৃতিয়াংশ খাদ্য উৎপাদনের মতো চাষের জমি নিয়া ২২ কোটি মানুষের বাচার বেপরোয়া চেষ্টা। খালি একবার ভেবে দেখেন বর্তমান পর্যায়ের সামাজিক বইষম্যের প্রতিক্রিয়ায় যেই পঞ্জিভুত ক্ষোভের যেই বহিপ্রকাশের যেই অশনী সংকেত আমরা দেখতেছি বি ডি আরের নৃশংসতা সহ আরো নিত্যদিনের রাজনৈতিক আর অরাজনৈতিক নির্মম সহিংসতায়, সেই পঞ্জিভুত ক্ষোভের বহিপ্রকাশ কোন ভয়াবহ বিস্ফোরোনের পর্যায়ে যাইয়া পৌছাইবে, যখন ছোটো হইতে থাকা দেশে আরো কয়েক কোটি অতিরিক্ত মানুষ বেপরোয়াভাবে খালি বেঁচে থাকার চেষ্টা করবে –আমাদের ভবিষ্যতের এই ভয়াবহ বাস্তবতা কোনোমতে শুধু বেঁচে থাকার চেষ্টায় নিরন্তর ব্যাস্ত সাধারন মানুষের পক্ষে পুরাপুরি না বুঝে উঠারই কথা। বাইরের দুনিয়ার মোটামুটি সবাইই জানে, এমন একটা সপ্তাহ যায় না যখন সি এন এন বা অন্য ইন্টারন্যাশনাল টিভি চ্যানেল এই ব্যাপারে কোনো রিপোর্ট দেখায় না।

শুধুমাত্র জলবায়ু সম্মেলন করে এই মহা ধংস আটকান জাবেনা। এর জন্য দরকার সরকারী এবং বেসরকারী উদ্যোগ, পাশাপাশি সাধারন মানুষ দের কেও এগিয়ে আসতে হবে আমাদের সুন্দর দেশটিকে বাঁচাতে পাশাপাশি এই সুন্দর বসুন্ধরাকে রক্ষার আহ্বানে। এই রচনায় ”Does any body cares if  Bangladesh drowns” নামক তথচিত্রের একটি অংশ দেয়া হয়েছে। আশনি মহা দুর্যোগের সাম্ভাব্বতা দেখতে চাইলে দেখে নিতে পারেন তথ্যচিত্রটা। এই তথ্য চিত্র ছারাও বাংলাদেশের এরুপ আশনি দুর্যোগের উপর তৈরি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চিত্র দেখতে পাবেন Youtube এ। নিজে দেখুন আর একটু উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন হয়ত ঈশর প্রদত্ত মহা ধ্বংসের আগেই আমরা এক ভয়াবহ ধ্বংসলীলার সম্মুখীন হতে যাচ্ছি।