কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক সিকদারের (৩২) অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার হাসপাতালের ডরমেটরি থেকে তাঁর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। পুলিশের ধারণা, মোজাম্মেল আত্মহত্যা করেছেন।মৃত মোজাম্মেল হকের বাড়ি পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়ার কপালিরহাট গ্রামে। তিনি বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে মোজাম্মেল হক জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগ দেন। তাঁর স্ত্রী সুলতানা পারভিনও এক সময় এই হাসপাতালে ছিলেন। কিছু দিন আগে তিনি মেহেরপুরের একটি হাসপাতালে যোগ দেন। এরপর থেকে মোজাম্মেল হক হাসপাতালের ডরমেটরিতে একাই থাকতেন। প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে মোজাম্মেল হকের আত্মহত্যার বিষয়টি প্রথমে টের পায় হাসপাতালসংলগ্ন আফতাব উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
তারা জানালা দিয়ে ঘটনাটি দেখতে পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে খবর দেয়। পরে কর্মকর্তারা গিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে জানালার সঙ্গে গলায় লুঙ্গি পেঁচানো মোজাম্মেল হকের মরদেহ দেখতে পান। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।সহকারী পুলিশ সুপার (বাজিতপুর সার্কেল) নাসির উদ্দিন জানান, মোজাম্মেল হকের শরীরের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বাজিতপুর থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
You must log in to post a comment.