জীবনের বাস্তবিক রুঢ় মূর্হুতগুলোকে শব্দের কংক্রিটে
স্থরে স্থরে সাজাতে গিয়ে হঠাৎ কাব্যিক বনেছি,
আবিষ্কার করেছি নিজেকে আজন্ম এ হতচ্ছারার মতন!
আমার সীমান্ত যখন চার দেয়ালের আষ্টেপিষ্ঠে
কিংবা করিডোরে সীমাবদ্ধ তখন বিষন্নতা
আমার পায়ের শিকল –
তখন তোমার মায়াকান্না এক বিষাক্ত অভিশাপ !
আমি তখন শৃঙ্খলহীন দূর্বার, খোলা প্রান্তে সবুজের পথ ধরে
দুরন্ত ছুটে চলার তীব্র আকাংক্ষায়, প্রতিক্ষায় মূর্হুত গুনছি মুক্তির
কেবলই হাপিয়ে বাঁচবো বলে ।
আর দশজনের মত আমি নই, হতে পারিনি!
তোমার স্বপ্নের মত আমার যাত্রাপথ কখনো তা গন্ডি ছাড়িয়ে
মেঠো পথ ও সন্ধ্যের আকাশে গোধূলীর অস্থিত্বের প্রতিক্ষায় নয়!
আমার ভালো না লাগা ভালো –
আমার দেখা না দেখা স্বপ্ন, কিংবা না হাঁটা পথ
সবই আজ একই পথে,
সবই আজ এক মহাকাব্যের ছত্রে ছত্রে -অক্ষরে অক্ষরে
আমাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে , দূর্বোধ্য এক রচনার মধ্যদিয়ে !
তোমাকে অনু্রোধ – এখানে ক্ষান্ত যাও ।
এই দূর্বোধ্যতার সাথে আর এগিয়ে না ।
তুমি অজান্তে ধংসকে পিষ্ঠ করে ফেলবে অবলীলায়!
আজব দূর্বোধ্যতায় তোমার পাঠ বিষিয়ে উঠবে কাল ক্ষেপনের পরিক্রমায় ।
পাঠ্যের আগ্রযাত্রায়-
অভাবনীয় কিছুই তোমার মস্তিস্কের কল্পজগতে চিহ্নিত হবে না ।
বরংচ তুমি এক উন্মাদের সাথে – আজানা পথে হারিয়ে যাবে।
অতঃপর, আমি এক অজ্ঞাত, উন্মাদ যাযাবর;
জীবনকে ভূল করে ফেলে এসেছি সেই কবে – বন্ধুর পথে , আর তুমি –
কেবলি আবেগতাড়িত, ভূলে গেছ?
তোমাকে কোথায়, কখন বারণ করেছিলাম ; আমার পিছু ছেড়ে দিতে ।
তুমি আজ অবাঞ্চিত এক হাহাকার হয়ে – না ফেরার পথ ধরে
একাকী ভূবন তোমার – হিসেবের অংক কষে কষে –
আমার সাথে কেবলি অর্থহীন পথ চলেছ অলিতে গলিতে, মাঠে প্রান্তরে
অযাচিত স্বপ্নের তাড়নায়, মূল্যহীন – বর্জিত এক ভুল শহরে!
লিখেছেনঃ জি, এম ফ্রেজার
০৮ -০৯-২০১২