দৈনন্দিন জীবন যাপনে মোবাইল ফোন এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে দাড়িয়েছে। এটি শুধু আজ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবেই ব্যবহৃত হচ্ছে না। এরই ধারাবাহিকতায় দৌর গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সরকার ২০০৯ সালে চালু করে মোবাইলে জরুরী স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। বিশেষ করে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে এ উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার দাবী রাখে। কিন্তু প্রশংসনীয় এ উদ্যোগটি এদেশের মানুষের কাছে কতটুকু সহজলভ্য হয়েছে, সে বিষয়ে সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী সেবাটির কার্যকারিতা সহজেই অনুমেয়। প্রচার-প্রচারণার অভাব আর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের আন্তরিকতার অভাব এই অনন্য উদ্যোগটিকে একটি অকার্যকর উদ্যোগে পরিণত করে রেখেছে।
এ কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য ছিলো, হাসপাতালে উপস্থিত না হয়েও যেন সাধারণ মানুষ বা রোগীরা সরকারি নির্দিষ্ট মুঠোফোন নাম্বারে ফোন করে চিকিৎসকের সেবা নিতে পারেন। শুধু তাই নয়, এ সেবাটিকে কার্যকর করতে রয়েছে সরকারি নির্দেশনা। রয়েছে এ সংক্রান্ত সেবাগ্রহীতাদের তথ্য লিপিবদ্ধকরণের নিয়ম। কিন্তু সবই যেন কাগুজে! নেই পর্যাপ্ত প্রচার-প্রচারণা, নেই সেবাটিকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার প্রচেষ্টা! বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে (মোট ৪৮২টি হাসপাতাল) দেয়া একটি করে মুঠোফোনের শুভ উদ্যোগটি ব্যক্তি বিশেষের উদাসীনতা আর প্রচারের অভাবে ব্যর্থ উদ্যোগে পর্যবাসিত হোক এটা আশাকরি কারোর কাছেই কাম্য নয়।
সবশেষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় যথাযথ পদক্ষেপে গ্রহণের মাধ্যমে এই প্রশংসনীয় উদ্যোগটিকে সত্যিকার অর্থেই এদেশের মানুষের কাছে অনন্য উদ্যোগে পরিণত করে তুলবেন এ প্রত্যাশা সকল সেবা গ্রহীতাদের।