ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে পাল্টা জবাব দিলেন কার্লোস বিলার্ডো। তিনি বলেন, ডিয়েগো (ম্যারাডোনা) এখন যা বলছে তা মোটেও ঠিক নয়। তিনি কোনো বিশ্বাসঘাতকতা করেননি বলে দাবি করে বলেন, নিজের পতনের জন্য ম্যারাডোনা নিজেই দায়ী। এর আগে বুয়েনস আয়ার্সে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে অনেকের মতে আর্জেন্টিনার ফুটবল ‘ঈশ্বর’ ম্যারাডোনা বলেন, ”গ্রন্ডোনা আমাকে মিথ্যা বলেছেন। বিলার্ডো করেছেন বিশ্বাসঘাতকতা।” ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক তার সঙ্গে নতুন করে চুক্তি না করার জন্য ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও দলের ম্যানেজারকে দায়ী করেন।
সাবেক শিষ্যের এমন অভিযোগের পর নীরব থাকেননি বিলার্ডো। তিনি বলেন, ”ভেবেছিলাম বিষয়টা নিয়ে কথা বলবো না। কিন্তু অনেক সহ্য করেছি। কিন্তু ডিয়েগো যেভাবে আজেবাজে কথা বলে বেড়াচ্ছেন তাতে অপমানিত বোধ করছি।” বিলার্ডো জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে সংবাদ সম্মেলনে ম্যারাডোনার অভিযোগ সম্পর্কে নিজের অবস্থান ব্যাখা করবেন তিনি।
এমনিতে ম্যারাডোনার সঙ্গে বিলার্ডোর সখ্যের ইতিহাস বেশ পুরোনো। ১৯৮৬ সালের বিশকাপ চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা দলের কোচ ছিলেন কার্লোস বিলার্ডো। চার বছর পর ১৯৯০ সালেও আর্জেন্টিনার কোচের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সেই বিশ^কাপে আর্জেন্টিনা রানার-আপ হয়।
এ প্রসঙ্গে বিলার্ডো বলেন, ”কোচ হিসেবে বিশ^কাপ জিতেছি। আরেকটি বিশ^কাপে রানার-আপ হয়েছি। ম্যারাডোনার ওপর নির্ভর করতাম না আমি। উল্টো তিনি আমার ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। দেখুন, ম্যারাডোনা ১৯৮৪ ও ১৯৮৫ সালে তেমন কিছুই করতে পারেনি।” দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ^কাপে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন বিলার্ডো।
তাই কোচ হিসেবে চাকরি নবায়ন না হওয়ায় আপাতত দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন ম্যারাডোনা। তাদের একজন আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি হুলিও গ্রন্ডোনা ও অন্যজন কার্লোস বিলার্ডো।
বিশ^কাপে ব্যর্থতার পরও আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) তাকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কোচের দায়িত্বে থাকার প্রস্তাব দিয়েছিল। এএফএ কোচিং স্টাফ দলে কিছু বদল আনতে চেয়েছিল অ্যাসোসিয়েশন। এই শর্তে রাজি হননি ম্যারাডোনা। এরপর এই ব্যাপারটি নিয়ে দু’পক্ষ কঠোর অবস্থান নেয়ায় আলোচনা ভেঙ্গে যায়। ম্যারাডোনার চুক্তিও নবায়ন করেনি এএফএ।
You must log in to post a comment.