সামাজিক সাইট ফেসবুক অ্যাপলিকেশনে যুক্ত হলো প্যানিক বাটন। নতুন এই সেবার মাধ্যমে ফেসবুক এর শিশু ও কিশোর ব্যবহারকারীরা তাদের হয়রানির অভিযোগ করার সুযোগ পাবে। অভিযোগগুলো ফেসবুক ও আইন প্রণয়নকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান সিইওপি বিভাগে সরাসরি জমা হবে। আর তাতে তাৎক্ষণিক নেওয়া হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।

গত নভেম্বর থেকে সিইওপি (চিল্ড্রেন এক্সপ্লোসিয়েশন অ্যান্ড অনলাইন প্রটেকশন) অনলাইনে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব সামাজিক নেটওয়াকিং সাইটের জন্য প্যানিক বাটন উন্মুক্ত করে। সর্বপ্রথম সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট বেবো বৈশিষ্ট্যটি যুক্ত করে। পরে মাইস্পেসও সেবাটি গ্রহণ করে। তবে সে সময় ফেসবুক সূত্র জানায়, তাদের সাইটের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাই যথেষ্ট। কিন্তু গত কয়েক মাসে ফেসবুক এ শিশু-কিশোরদের যৌন হয়রানির প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় প্রতিরোধ হিসেবে উদ্যোগটি নেওয়া হয়।

সম্প্রতি ১৭ বছরের এক মেয়েকে ৩৩ বছর বয়স্ক ব্যক্তি ধর্ষণের পর খুন করে। উল্লেখ্য, ফেসবুক এর মাধ্যমে তদের দু’জনের পরিচয় হয়। ঘটনার পর ইংল্যান্ড, ওয়ালস ও স্কটল্যান্ডের ৪৪ জন পুলিশ সিইওপি এর কাছে ফেসবুকে প্যানিক বাটন যুক্ত করার জন্য নোটিশ পাঠায়। তারই ফলশ্রুতিতে এ মুহূর্তে ফেসবুক সেবায় প্যানিক বাটন যুক্ত করা হলো।